Advertisement
১৮ মে ২০২৪

পাহাড়-সমতলে বাহিনীর টহল

বিকেলে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড লাগোয়া ঝংকার মোড় এলাকায় জওয়ানদের টহল দিতে দেখা যায়। আধুনিক স্বয়ংক্রিং আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত জওয়ানদের দেখে অনেকেই পাশ কাটিয়েছেন।

বাড়ানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।—ফাইল চিত্র।

বাড়ানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২১
Share: Save:

ভোটের ন’দিন আগে দার্জিলিং লোকসভার পাহাড়-সমতল সর্বত্র টহলদারি শুরু করে দিল আধা সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার সকাল থেকে দার্জিলিং শহরের পাশাপাশি সমতলে শিলিগুড়ি জুড়ে শুরু হয়ে বাহিনীর রুট মার্চ। পুলিশ সূত্রের খবর, দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড়ে ১৫ কোম্পানির বেশি ফোর্স আসার কথা। আর শিলিগুড়িতেই আসার কথা ১৪ কোম্পানি। কিন্তু সোমবার রাত অবধি মাত্র ১ কোম্পানি আসায় সকালে বিকেলে থানা ভাগ করে শুরু হল টহল। সকালে মাটিগাড়া, বাগডোগরা, প্রধাননগর এলাকা, দুপুরের পরে টহলদারি শুরু হয় শিলিগুড়ি, এনজেপি ও ভক্তিনগরে।

বিকেলে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড লাগোয়া ঝংকার মোড় এলাকায় জওয়ানদের টহল দিতে দেখা যায়। আধুনিক স্বয়ংক্রিং আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত জওয়ানদের দেখে অনেকেই পাশ কাটিয়েছেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে জওয়ানদের কয়েক জন এগিয়ে গিয়ে বাসিন্দাদের কাছে এলাকার নাম, বাজার সম্পর্কে জানতে চান। একইভাবে মাটিগাড়ার রঙিয়া, তুরিবাড়ি বা প্রধাননরের কড়াইবাড়ি, দেবীডাঙার মত এলাকায় বাসিন্দাদের সঙ্গে জওয়ানদের সামান্য কথাবার্তা বলতেও দেখা যায়।

স্থানীয় থানার ওসি, আইসিদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঘুরে রাস্তা চেনা শুরু করে বাহিনী। কমিশনারেটের বাইরে দার্জিলিং জেলা পুলিশের গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে আরও ২ কোম্পানি। তারাও টহল শুরু করে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ১৩ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র পুলিশের বাহিনী পৌঁছে যাবে। ১৬ এপ্রিলের মধ্যে নির্দিষ্ট বুথ এলাকায় পৌঁছবে বাহিনী। পুলিশি ভাষায় ‘এরিয়া ডোমিনেশন’-র জন্য রুট মার্চ করবে। ভোটের দিন বুথ, পোলিং স্টেশনে ছাড়াও পুলিশ-প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টর, আরটি মোবাইল, ফ্লাইং স্কোয়াড এবং কুইক রেসপন্স টিমের কাজেও আধা সামরিক বাহিনী সহযোগিতা করবে।

রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক কর্তা জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমস্ত কিছুই কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে করা হচ্ছে। রুট মার্চ থেকে কতগুলি বুথে বাহিনী থাকবে, তা ঠিক হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং শিলিগুড়ির জন্য সেই তালিকা আলাদা করে তৈরি করে কমিশনের অনুমোদন নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে অদলবদল করতে হলে কমিশন সরাসরি নির্দেশ পাঠাবে।

কয়েক জন অফিসার জানান, বাহিনীর বাসস্থানে শৌচালয়, পানীয় জল, রান্নার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক ছিল। এ বার মোবাইল টাওয়ারের দূরত্ব, রাস্তার হাল, ব্যাঙ্কের দূরত্ব, গাড়ি পার্কিং-র ব্যবস্থাও দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE