E-Paper

ট্রলি-কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ কর্তৃপক্ষের

শুক্রবার সকালে জরুরি বিভাগ থেকে দুর্ঘটনায় জখম ছেলেকে পিঠে করে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির ‘ট্রমা কেয়ার ইউনিটে’ নিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ১০:৪৪

মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ট্রলি-কাণ্ডে অস্থায়ী কর্মীদের একাংশের ‘দৌরাত্ম্য’ ঠেকাতে এ বার নড়েচড়ে বসলেন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে ট্রলির কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে রোগীর আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা দাবি করেন অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ। শনিবার এমন অভিযোগের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের এক সহকারী সুপারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সকালেই মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে ফোন করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মালদহের জেলাশাসক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নীতিন সিংহানিয়া। তিনি বলেন, ‘‘মেডিক্যালে ট্রলি নিয়ে অভিযোগের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

শুক্রবার সকালে জরুরি বিভাগ থেকে দুর্ঘটনায় জখম ছেলেকে পিঠে করে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির ‘ট্রমা কেয়ার ইউনিটে’ নিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে। জানা গিয়েছে, ট্রলি ঠেলার দায়িত্ব থাকে অস্থায়ী কর্মীদের। সেই কর্মীদের একাংশ ট্রলি ঠেলার জন্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করেন বলে অভিযোগ। হবিবপুরের বাসিন্দা অজয় সাহা বলেন, “দু’মাস আগে দুর্ঘটনায় আমার বাবা জখম হন। সে সময় ট্রলি ঠেলার জন্য আমার কাছেও টাকা দাবি করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষকে জানালে, লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। সে সময় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থা থাকে না।’’

মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক ও স্থায়ী কর্মীদের টানা এক ওয়ার্ডে রাখা হবে না। এক মাস অন্তর অন্তর স্থানান্তরিত করা হবে। মেডিক্যালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর বলেন, “এক সহকারী সুপারকে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখতেবলা হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Malda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy