মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, চলতি মাসের ১০ তারিখে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধায় প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকের দিকে নজর রেখেই পড়শি দুই জেলা, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার প্রশাসন তৎপর। আজ, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে মিড-ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গ্রামে গ্রামে ছুটবেন প্রশাসনিক কর্তারা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন থানার ওসি এবং আইসি’রাও যাবেন একাধিক স্কুলে। সরকারি প্রকল্পগুলির রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে জোরকদমে। কোথায় খামতি রয়েছে তাও চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী ১০ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী চ্যাংড়াবান্ধায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তার বাইরে তিনি কিছু বলতে চাননি। জেলাশাসক কৌশিক সাহা ও আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মলও কিছু বলতে চাননি।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল চ্যাংড়াবান্ধা। কোচবিহারের ওই এলাকা ঘেঁষে রয়েছে জলপাইগুড়ির বেশ কিছু অংশ। আলিপুরদুয়ার জেলা কোচবিহারের পাশে। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবারই চ্যাংড়াবান্ধা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয় মেখলিগঞ্জে। কর্তৃপক্ষের কাজ কী হয়েছে, আগামী দিনে কী পরিকল্পনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেখানে।
জেলাশাসকও বিডিও, এসডিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে যাতে কোথাও খামতি না থাকে তা নিয়েই বৈঠকগুলিতে জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি দফতরও আলাদা ভাবে রিপোর্ট তৈরি করছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে এমনিতেই গোটা জেলার রিপোর্ট জানাতে হবে। সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।”
পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে জোরকদমে। মুখ্যমন্ত্রী আগে আচমকা হাসপাতালে ঢুকে পড়েছিলেন। তা মাথায় রেখেই তৎপর হয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোচবিহার সার্কিট হাউস। সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কর্মীদেরও। আলিপুরদুয়ার প্রশাসনও মুখ্যমন্ত্রী থাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ডুয়ার্সের কোথায় মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন তা নিয়ে আলোচনায় বসেছেন তাঁরা। একাধিক ‘সরকারি আবাস’ সবদিক থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মূলত জেলার উন্নয়নমূলক কাজ নিয়েই আলোচনা করেন। কোন প্রকল্পে কতটা কাজ হয়েছে। সেই কাজের নিরিখে ভাল না খারাপ তা জানিয়ে দেন তিনি। কাজ খারাপ হলে মুখ্যমন্ত্রী তার কৈফিয়তও চান। শিলিগুড়িতে গত প্রশাসনিক বৈঠকে কোচবিহারের একশো দিনের কাজ এবং কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার অবশ্য একাধিক ক্ষেত্রে সফল রয়েছে বলেই প্রশাসনের আধিকারিকরা দাবি করেছেন। যাত্রাপথে কোথাও কিছু চোখে পড়লেও অনেক সময় মুখ্যমন্ত্রী নেমে খোঁজখবর করেন। সবমিলিয়ে পুরো সফর নিয়েই এখন প্রশাসন তৎপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy