শেষ দিন প্রচারে জলপাইগুড়ির প্রার্থী। ভোট চাইছেন কংগ্রেস প্রার্থী সুখবিলাস বর্মা।
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান সঙ্কট তৈরি করছেন। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছেন। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে জোটের প্রার্থী সুখবিলাস বর্মার হয়ে প্রচারে এসে এ ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে জোটের সরকার আসলে উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধান করতে সচেষ্ট হবে। কারণ এখনও ছিটমহল থেকে আগে বিতাড়িত হয়ে আসা বহু মানুষ নাগরিকত্ব হারিয়ে উত্তরবঙ্গে বাস করছেন।
এ দিন জোটের প্রার্থী সুখবিলাসকে নিয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য জলপাইগুড়ি শহরে প্রচারে বার হন। শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী ধর্তিমোহন রায়কে নিয়ে প্রচার র্যালি করে তৃণমূলও। শুক্রবারই জলপাইগুড়ি পৌঁছন প্রদীপবাবু। শহরের পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি এলাকায় একটি সাইকেল র্যালির উদ্বোধন করেন। তারপর সুখবিলাস বর্মাকে নিয়ে সাইকেল র্যালির সঙ্গে করালি পাড়া পর্যন্ত রোড শোয়ে যোগ নেন। তিনি বলেন, “মমতার মনে ফ্যাসিজম দানা বেঁধেছে। তিনি কমিশনকে অষ্টরম্ভা দেখিয়ে সংবিধান সংকট তৈরি করছেন। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতিকে বিষয়টি জানাবেন। রাষ্ট্রপতি যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবেন।” তিনি আরও বলেন, “যে প্রত্যাশা নিয়ে ২০১১ সালে সরকার গঠিত হয়েছিল তা ভেঙে গেছে।”
জলপাইগুড়ি শহর থেকে বেরুবাড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত খুব দূরে নয়। তাই প্রত্যাশিত ভাবেই সেখানে ছিটমহল নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রদীপবাবু। তাঁর দাবি, ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে বহু আগে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহল থেকে বহু লোক অত্যাচারিত হয়ে আগে এসেশে এসেছেন। তাঁরা এখনও নাগরিকত্ব পাননি। ছিটমহল উদ্বাস্তুদের কমিটি সুত্রে জানা যায় তাদের সংখ্যা ২৫ হাজার। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বহু স্মারকলিপি দিয়েছেন। সমাধান হয়নি। জলপাইগুড়ি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা এবং হলদিবাড়িতে তারা বসবাস করছেন। প্রদীপবাবু বলেন, “উদ্বাস্ত সমস্যা সমাধানের অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। বাকিটা রাজ্যে নতুন সরকার আসলে সমধান হয়ে যাবে। বিশ্বাস রাখুন।”
শেষ দিনে প্রচারে তৎপরতা ছিল শাসক-শিবিরেও। সকাল সাড়ে দশটার সময় তৃণমূল প্রার্থী ধর্তিমোহন রায়কে নিয়ে সাতটি টোটো এবং লোক ভর্তি আটটি পিকআপ ভ্যানের কনভয় নিয়ে প্রচারে বার হন জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। দুপুর ২টোর পর তাঁরা মণ্ডলঘাট এবং বেরুবাড়ি গিয়ে প্রচার শেষ করেন।
ছবি: সন্দীপ পাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy