গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফিরতে আর পাঁচ জন যাত্রীর সঙ্গে অটোতে উঠে বসেছিল একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। চলন্ত অটোর মধ্যে পিছনে বসা এক যুবক ওই ছাত্রীর মাথার এক গোছা চুল কেটে নেয় বলে অভিযোগ। কেটে নেওয়া ওই চুল ছাত্রীটির হাতে ধরিয়ে অটো থামিয়ে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার খানপুর এলাকায় বালুরঘাট-হিলি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। ছাত্রীর কান্নাকাটি শুনে কাছেই ডিউটিতে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা গিয়ে অটোটিকে আটক করে চালককে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল খানপুর থেকে ছাত্রীর বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। ছাত্রীটি মাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানালে তিনিও কিছু ক্ষণের মধ্যে চলে আসেন।
এরপর ‘কাটা চুল’ হাতে নিয়ে মেয়েকে নিয়ে মা বালুরঘাট থানায় গিয়ে অজ্ঞাতপরিচিত ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার খবর পেয়ে চলে আসেন ডিএসপি সৌম্যজিত বড়ুয়া। তবে অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
বালুরঘাটের মালঞ্চা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী এক গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফিরছিল। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সে অটোতে ওঠে। অটোটিতে আরও যাত্রী ছিল। পিছনের আসনে একা বসেছিল ওই যুবক। হাওয়ায় ছাত্রীর লম্বা চুল পিছনের দিকে ছড়িয়ে পড়লে সকলের অলক্ষে ওই যুবক ছাত্রীর মাথার চুলের নীচের অংশ থেকে এক গোছা কেটে নেয় বলে অভিযোগ।
অটো চালকের দাবি, বাসস্ট্যান্ড থেকে গন্তব্য মালঞ্চার দিকে প্রায় দু’কিলোমিটার পথ যেতে খানপুরের কাছে অটো দাঁড়াতে বলে ছেলেটি। অটো থামাতেই এক ছুটে পালিয়ে যায়। সে সময় মেয়েটিও কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। তবে অভিযুক্তকে দেখলে তিনিও চিনতে পারবেন বলে অটোচালক পুলিশকে জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy