Advertisement
E-Paper

কার্ডবোর্ড বাক্সে রফতানির উদ্যোগ

আম পাতা জোড়া জোড়া। প্যাকেজিং ঠিক মতো হলে, তাতে ছুটবে ব্যবসা।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০২:১৭

আম পাতা জোড়া জোড়া। প্যাকেজিং ঠিক মতো হলে, তাতে ছুটবে ব্যবসা।

প্যাকেজিংয়ের জন্যই আমের ব্যবসা মার খাচ্ছে, বহু দিন ধরেই সেই আক্ষেপ রয়েছে চাষিদের। কাঠের বাক্সে আম পাঠানো হলে তাতে নানা সমস্যা হয়। তাই এ বার কাঠের বদলে কার্ডবোর্ডের বাক্সে আম প্যাকেজ করে রাজ্যের বাইরে পাঠানোর কথা ভাবছে উদ্যানপালন দফতর। কাঠের বাক্সের ক্ষেত্রে প্রতি বাক্সের জন্য খরচ হয় ৮০ টাকা করে। একই সঙ্গে কাঠের বাক্সে প্যাকিং-এর ক্ষেত্রে আমেরও ক্ষতি হয়। কাঠে আমের ঘষা লেগে নষ্ট হয়ে যায়। একটি আম নষ্ট হলে বাক্সের অন্য আমেরও ক্ষতি হয়।

উদ্যান পালন দফতরের সহ অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী জানান, অন্য রাজ্যের আপেল, আঙুল কিন্তু কার্ডবোর্ড বাক্সের মাধ্যমেই রফতানি করা হয়। দামও কাঠের বাক্সের তুলনায় ৩০ টাকা করে কম। এ ছাড়া খুবই হালকা, মজবুত এবং বহন করার ক্ষেত্রেও সুবিধে হয়। ওই বাক্সের মধ্যে আমও খুব ভালো থাকবে।

মালদহে প্রতি বছর গড়ে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন করে আম উৎপাদন হয়। কিন্তু রাজ্যের বাইরে তেমন রফতানি হয় না বলে দাবি উদ্যান পালন দফতরের কর্তাদের। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মাত্র দশ হাজার মেট্রিক টন আম দিল্লি হাটে পাঠানো হয়েছিল।

আমচাষিদের ধারণা, শুধু প্যাকেজিঙের অভাবে রাজ্যের বাইরে তেমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েনি মালদহের আম। তাই মরসুমের শুরুতেই প্যাকেজিং-এর মান বাড়াতে তৎপর জেলা উদ্যান পালন দফতর ও বিশেষজ্ঞেরা। জেলার বিভিন্ন বাগানে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, ঠিক মতো প্যাকেজ না করলে আম পচে যেতে পারে। সেই আশঙ্কাতেই চাষিরা রাজ্যের বাইরে আম রফতানিতে তৎপর হন না বলে দাবি কর্তাদের।

Mango Export Cardboard Box
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy