Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মহকুমা হতে পারে, আশায় মিরিক

এ বার বসন্তে মনোরম মিরিক। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই দার্জিলিঙের আরেকটি মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে চা-কমলালেবু ও লেকের শহর মিরিক।পাহাড়ে পুরভোটের মুখে কালিম্পং জেলা হয়েছে।

মিরিক লেক। বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।

মিরিক লেক। বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।

কিশোর সাহা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৮
Share: Save:

এ বার বসন্তে মনোরম মিরিক। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই দার্জিলিঙের আরেকটি মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে চা-কমলালেবু ও লেকের শহর মিরিক।

পাহাড়ে পুরভোটের মুখে কালিম্পং জেলা হয়েছে। এ বার মিরিকও মহকুমা হতে পারে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। মিরিক মহকুমা হলে ৯ আসন বিশিষ্ট পুরসভায় যে তৃণমূল সেটাকে সামনে রেখেই জোর প্রচারে নামবে, সেটা আঁচ করছে মোর্চা-সহ পাহাড়ের সব দলও। এখনই কেউ পা বাড়িয়ে খেলতে চাইছেন না।

সরকারি সূত্রের খবর, উচ্চ আদালতের সবুজ সঙ্কেত পেলেই রাজ্যের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। উচ্চ আদালতের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরিক মহকুমা গঠনের ব্যাপারে ছাড়পত্র দেওয়ার আর্জি গুরুত্ব সহকারে দেখছে কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, ব্লক সদর হলেও মিরিকে জেলা আদালতের একটি শাখা থাকার সুবাদেই কিছুটা অগ্রাধিকার পাচ্ছে কার্শিয়াঙের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রটি। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, মিরিককে মহকুমা হিসেবে গড়ার ইচ্ছের কথা আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো প্রয়োজনীয় অনুমতি পেতে সব জায়গায় নথিপত্র তৈরি করে পাঠিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, আইনি ছাড়পত্র পেতে একটু সময় লাগলেও কাজটা দ্রুত হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।

ইতিমধ্যেই পুলিশ-প্রশাসনের তোড়জোড় দেখে উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। তাঁদের আর্জি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই যেন মিরিক-মহকুমার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। সত্তর দশকের শেষে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু মিরিকে গিয়েছিলেন। মিরিক লেকের সংস্কার ও বিশ্রামের জায়গা তৈরির পরে তার উদ্বোধন করে মিরিক-পর্যটন কেন্দ্রের সূচনা হয়। তাই এ বারও মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মহকুমা স্বীকৃতির অনুষ্ঠান হলে বসন্তোৎসবে মাততে চলছে নানা প্রস্তুতি।

বস্তুত, ১৯৭৯-এর পরে দীর্ঘ দিন মিরিকের দিকে সে ভাবে কখনও নজর পড়েনি রাজ্যের। শিলিগুড়ি বিধানসভার আওতায় মিরিক থাকার সময়ে তৎকালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য অনেক বার যাতায়াত করেছেন। কিন্তু, মিরিকবাসীর মহকুমার দাবি নিয়ে কাজ এগোয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে একাধিকবার মিরিক যান। ভূমিকম্প-ধসের পরেও সেখানে যান তিনি। তখনই মিরিককে আলাদা মহকুমা গঠনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরুর আশ্বাস দেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নবান্ন থেকে একযোগে কালিম্পং জেলা ও মিরিকে মহকুমা গঠনের আশ্বাস দেন। সেই মতো প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Subdivision Mirik
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE