Advertisement
০৭ মে ২০২৪

বিধায়কদের বৈঠকে দেখা গেল না মিহির, অর্ঘ্যকে

যে সব এলাকায় সব চেয়ে বেশি লড়াই, বৈঠকে দেখা গেল না সেই বিধায়কদেরই। বুধবার কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ডাকে দলের জেলা পার্টি অফিসে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হয়।

তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক। — নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৮
Share: Save:

যে সব এলাকায় সব চেয়ে বেশি লড়াই, বৈঠকে দেখা গেল না সেই বিধায়কদেরই। বুধবার কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ডাকে দলের জেলা পার্টি অফিসে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ছিলেন না কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান। ওই দুই এলাকাতেই সব থেকে গোষ্ঠী লড়াই হয়েছে গত এক মাসে। মেখলিগঞ্জে তৃণমূলের এক সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। কোচবিহার দক্ষিণে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক সমর্থক। বৈঠকের পরে দলীয় নেতৃত্ব অবশ্য জানান, ওই দু’জন আগাম জানিয়েছিলেন তাঁরা বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বৈঠকের পরে জানানো হয়, এক কেন্দ্রের বিধায়ক অন্য কেন্দ্রে গেলে সেই এলাকার বিধায়ককে জানিয়ে যেতে হবে বলে এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে না থাকা নিয়ে মিহিরবাবু বলেন, “পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। সে কারণেই ওই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি।” অর্ঘ্যবাবু বলেন, “দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারিনি। আগাম জানিয়ে দিয়েছি।”

দলীয় সূত্রের খবর, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কোচবিহার জেলায় একাধিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহার শহরে দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘনিষ্ঠ নেতা মুন্না খান ও কাউন্সিলর শুভজিৎ কুন্ডুর অনুগামীদের সঙ্গে মিহিরবাবুর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিকের অনুগামীদের মধ্যে একাধিক গণ্ডগোল হয়। অভিজিৎবাবুর এক অনুগামীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। মেখলিগঞ্জেও বিধায়ক অর্ঘ্যবাবুর অনুগামীদের সঙ্গে আরেক নেতা লক্ষ্মী সরকারে অনুগামীদের সংঘর্ষ হয়। এক তৃণমূল সমর্থক মারাও যান। লক্ষ্মীবাবুকে অবশ্য ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনহাটা ও সিতাইয়ের দুই বিধায়কের মধ্যেও মতবিরোধ হয়। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার অভিযোগ ছিল,তাঁকে না জানিয়েই তাঁর এলাকায় মিটিং করেছেন উদয়নবাবু। সমস্ত বিষয় নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়েছে বলে দলের অন্দরের খবর। জগদীশবাবু বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সব মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা মেনে যাতে সবাই চলে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।” বৈঠকে উপস্থিত দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “এক বিধায়কের এলাকায় আরেক বিধায়ক বা মন্ত্রীর যাওয়া নিয়ে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে ব্যাপারে এ দিনও আলোচনা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

MLA conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE