পুরনো ভূমিকায়। ব্রাহ্মণীচক হাইস্কুলে পরীক্ষায় গার্ড সদ্য সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। —হিমাংশুরঞ্জন দেব
ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের ভালমন্দের ভার এখন তাঁর কাঁধে। তাই বলে স্কুলের ছাত্রদের ভার নামিয়ে দিতে রাজি নন পার্থপ্রতিম রায়। তাই দিল্লি থেকে ফিরে শনিবার ঠিক সময়েই স্কুলে হাজির হন তিনি। এ দিন স্কুলে পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা হলে ডিউটি করেন কোচবিহারের সাংসদ।
পার্থবাবু বলেন, “সাংসদ হওয়ায় একটা বড় সময় দিল্লিতে থাকতে হবে। জেলায় থাকলেও নানা কাজের চাপ থাকবে। সে সব সামলে স্কুলে যেতে চাই। ছাত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই। ওই বিষয়ে সমস্ত জায়গায় কথা বলেছি। কোনও অসুবিধে নেই।” দিল্লিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে শুক্রবার রাত ১০ টা নাগাদ কোচবিহারে ফেরেন পার্থবাবু। তাঁকে নিয়ে আনন্দে মাতেন তৃণমূল সমর্থক ও কর্মীরা।
জেলা পার্টি অফিস থেকে একটি রোড শো বের হয়। সঙ্গে ছিল ব্যান্ড পার্টি। সেখান থেকে নানা জায়গা ঘুরে রাতে জিরাণপুরে নিজের বাড়িতে পৌঁছোন তিনি। তৃণমূলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “সকাল থেকে সাংসদের অপেক্ষায় ছিলেন মানুষ। তিনি জেলায় ঢুকতেই নানা জায়গায় তাঁকে নিয়ে আনন্দে মাতেন মানুষ।”
পার্থবাবু কোচবিহার ব্রহ্মাণীর চৌকি হাইস্কুলের সহশিক্ষক। তিনি ইংরেজি পড়ান। তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই সাংসদ হওয়ার পরে পার্থবাবু স্কুলে শিক্ষকতা করবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এ দিন তিনি স্পষ্ট ভাবেই জানান, স্কুলে পড়াবেনই।
পাশাপাশি পার্থবাবু জানান, আগামীতে কোচবিহারের একাধিক বিষয় নিয়ে সংসদে সরব হবেন। সেখানে যেমন ছিটমহলের সমস্যা থাকবে তেমনি থাকবে নদী ভাঙনের সমস্যাও। পার্থবাবু বলেন,“মানুষ জেভাবে আমাকে স্বাগত জানিয়েছে তাতে আমি অভিভুত। কোচবিহারের একাধিক সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরব। যাতে ওই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পান মানুষ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy