ফাইল চিত্র।
শীতের পাহাড়ে পর্যটনে যাত্রী অনেকটাই কমেছে টয় ট্রেনের জয় রাইডগুলিতেও। শীতে যাত্রী কমা নতুন না হলেও টয় ট্রেনের পরিষেবায় চমক আনতে এ বার নয়া পদক্ষেপ নিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের জন্য আলাদা করে প্যাকেটে খাবার এবং স্মারকের বাক্স বিক্রি করা শুরু করা হয়েছে। টয় ট্রেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় জয় রাইড ঘুম-দার্জিলিং রুটে তা চালু করা হয়েছে। রেলের উদ্দেশ্য যাত্রীদের আকর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের আয় বাড়ানো।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধিকর্তা এমকে নার্জারি বলেন, ‘‘খাবারের প্যাকেটের সঙ্গে ডিএইচআর লেখা একটি চাবির রিং এবং দার্জিলিং হিমালয়ান রেল সম্পর্কে একটি প্রচারপত্রও থাকছে।’’ তবে সেই বাক্সটি টিকিটের দামের বাইরে ১২৫ টাকা দিয়ে কিনতে হবে যাত্রীদের। প্যাকেটে সুন্দর চাবির রিংটি ছাড়াও জলের বোতল, চকলেট, বিস্কুট এবং টয় ট্রেনের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি বুকলেট থাকে। তবে যাত্রীরা ইচ্ছা করলে তা কিনতে পারেন। বাধ্যতামূলক নয়।
টয় ট্রেনের লম্বা রুটের যাত্রী আগেই কমেছে। তার জন্য বিভিন্ন বড় বড় রুটগুলিকে ভাগ করে ছোট ছোট দূরত্বের অনেকগুলি জয় রাইড চালু হয়েছে। আগে ঘুম দার্জিলিং রুটে ১২টি ট্রেন চলত সারাদিনে। ডিএইচআরের তরফে জানানো হয়েছে, এখন ৪টি করে ট্রেন ওই রুটে চালানো হচ্ছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের কার্শিয়াং-দার্জিলিং রুটটিও বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এখন শীতের সময় সমস্ত জয় রাইডেই যাত্রী কম। কিছুদিন আগেই শিলিগুড়ি জংশন থেকে রংটং পর্যন্ত আরও একটি জয় রাইড চালু করা হয়েছিল। তাতেও যাত্রী একেবারেই হচ্ছে না। ডিএইচআর সূত্রের দাবি, সারা মাসে ডিএইচআরের তরফে ট্রেন চালাতে খরচ হয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। কিন্তু যাত্রীদের টিকিট থেকে আয় হয় মাত্র ৭ কোটি টাকার মতো। তাই নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ডিএইচআর কর্তৃপক্ষকে।
কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম পার্থপ্রতীম রায় বলেন, ‘‘ডিএইচআর একটি ঐতিহ্যবাহী পরিষেবা। এখানে আমরা লাভের বিষয় সাধারণত দেখি না। তবে নানারকম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং উৎসাহ বাড়াতে।’’
রেল সূত্রের খবর, সেই স্ন্যাক্স বক্সের চাহিদা একটু একটু করে বাড়ছে। ওই রুটে এই বক্সের চাহিদা বাড়লে সেগুলি অন্য জয় রাইডগুলিতেও চালু করার পরিকল্পনা করছে রেল। তবে সব দিক থেকেই এগুলির আরও প্রচার চাই বলে কিছুদিন আগেই পর্যটন ব্যবসায়ীদের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষকে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘এই জয় রাইডগুলিতে টিকিটের দাম কমানো থেকে শুরু করে খাবারের মধ্যে বৈচিত্র এবং একটু গুণগত মান বাড়ানো থেকে বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছি আমরা ডিএইচআরকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy