তোর্সার সোনালি বোয়াল কিংবা কালজানির গোলসে ট্যাংরা, পাবদা। মাছপ্রেমীদের কাছে এ সব নামের মাহাত্ম্যই আলাদা। কিন্তু ইদানিং বাজারে মাছগুলোর জোগান তেমন নেই। মাঝেমধ্যে কিছু মাছ মিললেও চড়া দামের জন্য অনেকেই তা কিনতে পারেন না। ক্রমশ বিলুপ্ত হতে চলা এমন নদীয়ালি মাছ ফের পাতে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার জেলা মৎস্য দফতর।
নদীয়ালি এ রকম একাধিক প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করতে তৈরি করা হয়েছে একটি প্রকল্পও। তাতে নদী থেকে ওই প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক মাছ ধরে কৃত্রিম প্রজনন করে চারাপোনা করা হবে। হ্যাচারিতে উৎপাদিত চারাপোনা নদী থেকে বিলে ছাড়া হবে। দফতর সূত্রের খবর, প্রকল্পে ৪০ লক্ষ চারাপোনা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এ জন্য ১০টি হ্যাচারি চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। মাছ সংরক্ষণেও সচেতনতা বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
মৎস্য দফতরের কোচবিহার জেলা আধিকারিক অলোকনাথ প্রহরাজ বলেন, “বিলুপ্ত না হলেও প্রচুর নদীয়ালি মাছের উৎপাদন কমে গিয়েছে। ওই সব মাছের জোগান বাড়াতেই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।”
মৎস্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, নদীতে মশারি জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করায় সমস্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে দূষণ আর কীটনাশকের ব্যবহারেও তোর্সার সোনালি বোয়াল, কালজানির পাবদা, গোলসে ট্যাংরার উৎপাদন কমছে। কমে গিয়েছে নদীয়ালি আঢ়, সিঙি, নেদস, কই, মাগুরের মতো মাছও।
মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোচবিহারের বাজারে কয়েক বছর আগেও গড়ে ৬০ কেজি নদীয়ালি বোয়াল উঠত। এখন সেটাই নেমে এসেছে গড়ে ৬-৭ কেজিতে। অন্য সব মাছেরও উৎপাদন কমেছে। ইতিমধ্যে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সরপুঁটি মাছের উৎপাদন অনেকটা বাড়ানো গিয়েছে বলে তাদের দাবি। তোর্সার রুপোলি সম্পদ বোরোলির উৎপাদন বাড়াতে পুকুরে চাষও শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy