—ফাইল চিত্র।
অন্তর্বতী রেল বাজেটে এ বারে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে প্রাপ্তির ঘর থেকে গেল শূন্যই। নতুন কোনও ট্রেন নয়, জেলাবাসীর মূল দাবি ছিল বালুরঘাট-হাওড়া ট্রেনটি সপ্তাহে দু’দিনের বদলে সপ্তাহে প্রতিদিন চালানো। বালুরঘাট থেকে হিলি, বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ এবং বুনিয়াদপুর থেকে হরিরামপুর হয়ে ইটাহার পর্যন্ত রেলপথের সম্প্রসারণের দাবিও এ বারের বাজেটে উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ৯ ফেব্রুয়ারি রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল অন্তর্বতী রেলবাজেটে এ জেলার জন্য বরাদ্দ করেন মাত্র ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। যাতে স্বভাবতই হতাশ জেলাবাসী।
এ জেলার হিলি রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্পে ২৫০ কোটি টাকা প্রকল্পে গত বছর বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল মাত্র ১০ কোটি টাকা। একই ভাবে বুনিয়াদপুর এবং হরিরামপুর-ইটাহার হয়ে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণে সামান্য অর্থ বরাদ্দে প্রকল্প তিনটিকে আদপে জিইয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প, বুনিয়াদপুরে রেলের ওয়াগন কারখানা প্রকল্পেও গত বাজেটে মাত্র ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। এবার ওই ওয়াগন কারখানার প্রকল্পটি বাতিলই করে দেওয়া হয়েছে। জেলাবাসীর অভিযোগ, থমকে যাওয়া জেলার একগুচ্ছ রেলপ্রকল্প রূপায়ণের জন্য বাজেটে কোনও বরাদ্দ দেখা যায়নি। অন্তবর্তী বাজেটেও এ জেলার জন্য মাত্র ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে ক্ষুব্ধ তাঁরা।
বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর স্টেশনকে মডেল স্টেশন গড়ে তোলার রেল কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনও উদ্যোগ নেই বলে ক্ষুব্ধ বালুরঘাট-একলাখি রেল উন্নয়ন কমিটির জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি দেব। তিনি বলেন, ‘‘বালুরঘাটে যাত্রী পরিষেবা উন্নয়নে ডবল লাইন, সিগন্যালিং ব্যবস্থার মতো একাধিক উন্নয়নের কাজ থমকে ছিল। অন্তর্বতী রেলবাজেটেও প্রাপ্তির ঘর শূন্য। দাবি পূরণে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
জেলা বিজেপি কনভেনার নীলাঞ্জন রায় দাবি করেন, ‘‘বালুরঘাট-হাওড়া ট্রেনটি দৈনিক চালু করতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি হিলি রেলপথ সম্প্রসারণ এবং গঙ্গারামপুরের মতো একাধিক স্টেশন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেশকিছু প্রকল্পের টেন্ডারও হয়েছে।’’
তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে জেলাবাসীকে বঞ্চনার ট্র্যাডিশন অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় বুনিয়াদপুরে ওয়াগন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থান হত। আমরা প্রকল্পগুলি দ্রুত সম্পূর্ণ করার দাবি জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy