টিঙ্কুয়া ঠাকুর
ভর সন্ধ্যায় এক যুবককে গুলি করে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল রায়গঞ্জের অশোক পল্লি এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম টিঙ্কুয়া ঠাকুর (৩৯)। তাঁর বাড়ি রায়গঞ্জের পূর্ব নেতাজিপল্লি এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এলাকার অমর সুব্রত ক্লাবের দুর্গামন্দির সংলগ্ন রাস্তায় টিঙ্কুয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। পেশায় ঠিকাদার ওই যুবক তৃণমূল কর্মী বলেও এলাকায় পরিচিত ছিলেন। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতের পেটে, গলায় ও মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মোটরবাইকটিও উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মোবাইলের কললিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর জানিয়েছেন, মৃত যুবকের বিরুদ্ধে খুন, মারপিট সহ একাধিক মামলা রয়েছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদ, টাকা লেনদেন, বা পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে থাকতে পারে। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তৃণমূলের রায়গঞ্জ শহর সভাপতি, প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রিয়তোষ মুখোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে এ দিন টিঙ্কুয়ার মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। প্রিয়তোষবাবুর দাবি, ‘‘টিঙ্কুয়া দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে কে বা কারা, কেন খুন করল, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন এফসিআই মোড় এলাকার একটি চায়ের দোকানে চা খেয়ে এক বন্ধুকে নিয়ে মোটরবাইকে চেপে রামপুরের দিকে যাচ্ছিলেন টিঙ্কুয়া। সেই সময় দুই যুবক তাঁর মোটরবাইকটি থামিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে এক সিপিএম কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগে মামলা রয়েছে টিঙ্কুয়ার বিরুদ্ধে। তখন অবশ্য টিঙ্কুয়াও সিপিএম করতেন বলে জানা গিয়েছে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর টিঙ্কুয়া তৃণমূলে যোগ দেন।
টিঙ্কুয়ার খুনের খবর পেয়ে বাকরুদ্ধ তাঁর স্ত্রী ললিতা ও দুই সন্তান মিষ্টু ও বিশ্বজিত।
টিঙ্কুয়ার প্রতিবেশী, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রতন মজুমদার বলেন, ‘‘টিঙ্কুয়ার সঙ্গে বর্তমানে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। পুলিশ তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy