Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Panchayat Election

সিএএ-র বিরোধিতায় গ্রেটার নেতা বংশীবদন

কোচবিহারে ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতা বংশীবদন বর্মণ অবশ্য সরাসরি ওই পদক্ষেপ করা হলে, রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

ফের সিএএ নিয়ে চর্চা শুরু উত্তরবঙ্গে।

ফের সিএএ নিয়ে চর্চা শুরু উত্তরবঙ্গে। — ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৪
Share: Save:

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে ফের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদেরা। তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে কোচবিহারে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখে করে দ্রুত সিএএ চালুর দাবি করেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। অন্য সাংসদেরাও তাঁর পাশেই দাঁড়ান। পরে, সাংসদেরা দাবি করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দ্রুত সিএএ চালুর বিষয়ে তাঁদের ‘সদর্থক বার্তা’ দিয়েছেন। কোচবিহারে ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর নেতা বংশীবদন বর্মণ অবশ্য সরাসরি ওই পদক্ষেপ করা হলে, রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগেও ‘সিএএ’ নিয়ে বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিলেন বংশীবদনেরা। তাঁরা ‘এনআরসি’ (ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস) চালুর দাবি করেন।

বংশীবদন বুধবার বলেন, ‘‘আগে কোচবিহারের ভারতভুক্তি চুক্তি রূপায়ণ করতে হবে। কোচবিহারবাসীর পরিচয় আগে দেওয়া হোক। তার পরে, অন্য কথা ভাবা যাবে। তা না হলে, আগের মতোই আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।’’ ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’-এর আর একটি গোষ্ঠীর প্রধান অনন্ত রায় (মহারাজ) অবশ্য বলেন, ‘‘ওই বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’’ বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিজেপি স্পষ্ট ভাবে অনেক আগেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাকে স্বাগত জানাব। যারা বিরোধিতা করছে, তারা রাজনীতির জন্য করছে।’’

কোচবিহারে ‘এনআরসি’ ও ‘সিএএ' নিয়ে বিরোধ নতুন নয়। এর আগে ‘সিএএ’ নিয়ে বিজেপি ময়দানে নেমে প্রচার শুরু করেছিল সেই সময়ই গ্রেটারের একটি অংশ সরাসরি তার বিরোধিতা করে রাস্তায় নামে। গ্রেটারের ওই অংশের দাবি ছিল, ‘এনআরসি’ না করে কী করে ‘সিএএ’ হবে? আগে চিহ্নিত করতে হবে কারা অন্য দেশ থেকে কোচবিহারে এসেছে। ‘সিএএ’-র বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছিল তৃণমূলও। তাতে পাশের রাজ্য অসমে ‘এনআরসি’র ফলে। কত মানুষের নাম নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছিল তা তুলে প্রচার করে রাজ্যের শাসক দল। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে সে প্রসঙ্গ হারিয়ে যায়। তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘সিএএ বা এনআরসি সবই মানুষকে বিপদে ফেলানোর চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। অসমে কী হয়েছে, তা আমরা কোচবিহারের মানুষ জানি। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে আবার ওই কথা তুলে ধরে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE