ফের বেআইনি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযান চালালো স্বাস্থ্য দফতর। এ বার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায়। খবর পেয়েই পিছনের গেট দিয়ে তড়িঘড়ি রোগীদের বাইরে বার করে দিয়ে নার্সিংহোমটি বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় সকলেই। নার্সিংহোমটি সিল করে প্রশাসন। এ দিকে গোয়ালপোখরের অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হাতুড়ে চিকিৎসক মুক্তার এখনও পলাতক।
চাকুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে বিজলিয়া এলাকাতে একটি বাড়িতেই গজিয়ে উঠেছিল ওই নার্সিংহোমটি। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের ব্যবস্থাও ছিল সেখানে। কিন্তু অভিযোগ, নার্সিংহোমের কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই। অস্ত্রোপচার তো দূরের কথা স্বাভাবিক প্রসব করানোর মতো পরিকাঠামো নেই সেখানে। এ দিন জেলার উপ স্বাস্থ্য আধিকারিক (১) অনুপ হাজরার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যান। উপ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরা জানতে পেরেছেন ওই নার্সিংহোমের চিকিত্সা করতে আসেন বিহারের এক জন চিকিত্সক। তবে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও খবর মেলেনি। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই নার্সিংহোম থেকে তিনজন প্রসূতি ও দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এলাকাতে হাসপাতাল বলতে একমাত্র রয়েছে চাকুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে রোগীদের অস্ত্রোপচারের কোনও ব্যবস্থা নেই। বেশিরভাগ সময়েই রোগীদের রেফার করা হয় ইসলামপুর হাসপাতালে। যদিও ব্লক স্বাস্থ্যদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রোগীদের হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে সমস্ত পরিষেবাই বিনা মূল্যে হয়, তবুও ইসলামপুরের দূরত্বের কথা ভেবেই রোগীদের চাকুলিয়ার ওই নার্সিংহোমে নিয়েই যান বাসিন্দারা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ‘‘নার্সিংহোমে গিয়ে প্রতিনিধিরা দেখতে পান বাইরে থেকে বন্ধ। পরে শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে জানতে পারেন সেখানে রোগী ছিল। নার্সিংহোমের কোনও বৈধ কাগজ নেই। এমনকি পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy