—প্রতীকী চিত্র।
জল সঙ্কটে শিলিগুড়ির পাশে দাঁড়াল জলপাইগুড়ি। মেরামতির কাজের জন্য রবিবার বিকেল থেকে শিলিগুড়ি শহরে তিন-চার দিন জল সরবারহ করা যাবে না। বিকল্প ব্যবস্থা করতে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য সাহায্য চান জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুর। মোহনবাবু এই সমস্যায় শিলিগুড়িবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের তরফে বেশ কিছু জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে এই কয়েক দিনের জন্য।
শহরে পানীয় সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় পুরসভার বিরোধী তৃণমূল সদস্যরা মেয়রের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। এ সময়ই তৃণমূলের দখলে থাকা জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় খুশি মেয়র, জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ জয় চক্রবর্তী সকলেই। মোহনবাবু বলেন, ‘‘জল নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। পাশের শহরের মানুষের জলকষ্ট দূর করতে এটুকু সাহায্য তো কিছুই নয়।’’ তাঁর কথায়, ১৯৬৮ সালে ভয়াবহ বন্যায় জলপাইগুড়ি অনেক ক্ষতি হয়েছে। সে সময় শিলিগুড়ির বাসিন্দারা যদি পাশে না দাঁড়াতেন তা হলে আরও বেশি প্রাণহানি, ক্ষতি ঘটত। মেয়র বলেন, ‘‘শহরবাসীর পাশে থাকায় ওঁকে অনেক ধন্যবাদ। বলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রাজি হয়ে যান। রবিবারেই ট্যাঙ্কগুলো পাঠিয়েও দিয়েছেন।’’
মেরামতির জন্য রবিবার বিকেল থেকেই পাইপ লাইনে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। আগামী ৩-৪ দিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল পৌঁছে দিতে তাই বিকল্প ব্যবস্থা করতে তৎপর শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। ফুলবাড়ি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে জলের ট্যাঙ্কে জল ভরে সরাসরি বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাতে সাহায্য করতে জলপাইগুড়ি পুরসভা থেকে অন্তত ৪টি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। শিলিগুড়ি পুরসভার রয়েছে ১৬টি ট্যাঙ্কি। ২টি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। জন স্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতর দিচ্ছে তাদের ৪টি ট্যাঙ্ক। তা ছাড়া বাড়ি ছাদে যে বড় প্লাস্টিকের জলাধার রাখা হয় সে রকম ২০টি দু’হাজার লিটারের জলাধার আনা হয়েছে। ১২টি ট্রাকে করে ওই জলাধারগুলোতে জল ভরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে ৯ হাজার এবং ২০ হাজার লিটারের দুটি বড় ট্যাঙ্কিও জোগার করা হচ্ছে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে। বিকেলে মেরামতির শুরুর আগেই জলাধারগুলোয় জল ভরা হয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘জল নিয়ে আমরাও রাজনীতি করতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy