নিউ কোচবিহারে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। — নিজস্ব চিত্র।
না বলে কয়ে মাঝেমধ্যেই বাতিল হচ্ছে ট্রেন। এমনকী কোচবিহার টাউন স্টেশন, দেওয়ানহাট, ভেটাগুড়িতে স্টপেজ চালু হয়নি এখনও। প্যাসেঞ্জার স্পেশাল হিসেবে চালু হওয়ার দশ মাস পরেও তাই ভোগান্তি চলছেই নিউ কোচবিহার-দিনহাটার সম্প্রসারিত রুটে।
বৃহস্পতিবারও ওই রুটে নিউ কোচবিহার-শিয়ালদহগামী উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস বাতিল হওয়ায় ভোগান্তির মুখে পড়লেন যাত্রীরা। স্টেশনে এসেও অনেককে ফিরে যেতে হয়। কলকাতাগামী ওই ট্রেন ধরতে আগেভাগে বাস বা গাড়ি ভাড়া নিয়েও অনেকে নিউ কোচবিহারে পৌঁছন। রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম সঞ্জীব কিশোরের দাবি, “কুয়াশার জন্য নিউ কোচবিহারে ট্রেনটি দেরিতে পৌঁছয়। ফলে এ দিন দিনহাটার রুটে সেটি চালানো যায়নি।’’
রেল সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাস থেকে প্যাসেঞ্জার স্পেশাল হিসেবে ট্রেনটি নিউ কোচবিহার-দিনহাটা সম্প্রসারিত রুটে চালানো হচ্ছে। শিয়ালদহ থেকে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে নিউ কোচবিহারে পৌঁছনোর কথা ট্রেনটির। কুয়াশার জন্য এ দিন সেখানে সেটি পৌঁছয় বেলা ১১টা নাগাদ। সাফাই, রক্ষণাবেক্ষণের পর এ দিন নিউকোচবিহার থেকেই শিয়ালদহে ট্রেনটি ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, শুধু এ দিন নয়, মাঝেমধ্যেই ওই সম্প্রসারিত রুটে ট্রেনটি চলছে না। সোমবারও আচমকা ওই রুটে ট্রেন বাতিল করা হয়।
এ নিয়ে সরব হয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিসনের রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য রাণা গোস্বামী। তিনি বলেন, “দিনহাটা মহকুমার বাসিন্দাদের সরাসরি কলকাতা যাতায়াতে একমাত্র ভরসা উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। এই নিয়ে এক সপ্তাহে দু’বার ওই রুটে ট্রেনটি বাতিল করা হল। সাধারণ যাত্রীদের এ ভাবে দুর্ভোগে ফেলা দুর্ভাগ্যজনক। কমিটির পরের বৈঠকে বিষয়টি তুলব।”
ওই রুটে কোচবিহার টাউন-সহ একাধিক স্টপেজ চালু না হওয়া নিয়ে রেলের এক আধিকারিকের বক্তব্য, কোচবিহার টাউন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বড়জোর ১৪ কামরার ট্রেন দাঁড়াতে পারে। অন্য স্টেশনের পরিকাঠামো নিয়েও সমস্যা রয়েছে। ফলে সম্প্রসারিত রুটের সব স্টেশনে ১৯ কামরার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া মুশকিল। কোচবিহার শহরের ক্ষেত্রে ওভারব্রিজ তৈরি না হলে সেখানেও স্টপেজ চালু করা মুশকিল।
কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্স অফ ইন্ডাস্ট্রিজের সম্পাদক রাজেন বৈদ বলেন, “কামরার সংখ্যা কমিয়ে স্টপেজ দিয়েও সম্প্রসারিত রুটের পরিষেবা চালু রাখা যায়। সেটা নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। তার ওপর নানা অজুহাতে ট্রেন বাতিলে এমন ভোগান্তি চললে আন্দোলন হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy