এমন তিন জেলা, যেখানে তৃণমূলের প্রভাব ততটা নয়। পঞ্চায়েত ভোটের দোরগোড়ায় উত্তরবঙ্গের মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর সফর নিয়ে আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই। সরকারি হিসেব বলছে, মালদহে সামনের মঙ্গলবারের সভায় মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতশো কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকেই পঞ্চায়েতের প্রচারের সুর বাঁধা হয়ে যাবে বলে আশায় রয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতারাও। স্থির হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরে জেলার জন্য রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা সব প্রকল্পের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু হবে।
কিন্তু দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মমতা কী বলেন, তার দিকেই নজর বেশি। মালদহে বিধানসভা ভোটে ১২টি আসনের মধ্যে একটিও পায়নি তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরে ছ’টি আসনের মধ্যে দু’টি পেয়েছে তারা। তিনটি আসন খুইয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে ন’টি আসনের মধ্যে পেয়েছে চারটি। এই জেলাতেই দলের অবস্থা তবু ভাল। দু’টি আসন খোয়ালেও দু’টি আসন জিতেছে।
মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই দল ভোটে প্রভাব ফেলতে পারেনি বলে মনে করেন সব স্তরের নেতারাই। দক্ষিণ দিনাজপুরে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি করা হয় শঙ্কর চক্রবর্তীকে। পরে আবার তাঁর জায়গায় বিপ্লববাবুকে আনা হয়েছে। মালদহে ভোটের আগেই মোয়াজ্জেম হোসেনকে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমানো যায়নি।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মালদহে এসে দুর্গাকিঙ্কর সদনে প্রশাসনিক বৈঠকের পর ডিএসএ মাঠে একটি সরকারি সভা করবেন। রাতে মালদহেই থাকতে পারেন। সেই দিনই দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর কথা হতে পারে। সেখানে এ বার তিনি অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে কী বার্তা দেন, তা জানতেই মুখিয়ে রয়েছেন বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রীরা।
সামনের বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সে দিনই হেলিকপ্টারে চেপে বিকাল চারটেয় রায়গঞ্জে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন রায়গঞ্জে। পরদিন দুপুর একটায় মুখ্যমন্ত্রী হেমতাবাদ থানার মাঠে সরকারি জনসভায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস করবেন বলেও ঠিক রয়েছে। এরই মধ্যে দুই দিনাজপুরে দলের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।