Advertisement
E-Paper

বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ

বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া ও নিয়মিত বেতন দেওয়ার দাবিতে টানা একমাস অবস্থান বিক্ষোভ করেও কর্তৃপক্ষের কোনও আশ্বাস মেলেনি। এই অভিযোগ তুলে এবারে সংস্থার দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক কার্যালয়ের গেট অবরুদ্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন বিএসএনএলের অনথিভূক্ত অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১৫

বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়া ও নিয়মিত বেতন দেওয়ার দাবিতে টানা একমাস অবস্থান বিক্ষোভ করেও কর্তৃপক্ষের কোনও আশ্বাস মেলেনি। এই অভিযোগ তুলে এবারে সংস্থার দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক কার্যালয়ের গেট অবরুদ্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন বিএসএনএলের অনথিভূক্ত অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএসএনএলের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও প্রশাসনিক কার্যালয়ে কর্মরত ৫০ জনেরও বেশি অনথিভূক্ত অস্থায়ী কর্মী রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় সংস্থার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক কার্যালয়ের গেট অবরুদ্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই আন্দোলনের জেরে এ দিন সংস্থার কর্মী ও আধিকারিকেরা দফতরে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলন তুলতে ব্যর্থ হয়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে বিএসএনএলের অনথিভূক্ত অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ কংগ্রেস প্রভাবিত বিএসএনএল শিল্প সহায়ক ইউনিয়নের তরফে সংস্থার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দিন তাঁদের আন্দোলন একমাস অতিক্রম করল।

ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত ভদ্র বলেন, ‘‘জীবিকার স্বার্থে দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সংস্থার কার্যালয়ের গেট অবরুদ্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

আন্দোলনকারীদের দাবি, বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সংস্থার কার্যালয়ের গেট অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চলবে। ওই আন্দোলনের জেরে বিএসএনএলের ল্যান্ডফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হলে তার দায় কর্তৃপক্ষের উপর বর্তাবে বলে তাঁদের হুঁশিয়ারি।

বিএসএনএলের ভারপ্রাপ্ত টেলিকম ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার প্রদীপ সরকারের দাবি, কর্তৃপক্ষ অতীতের সব বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে সংস্থার সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কর্মী ও আধিকারিকেরা যাতে শুক্রবার থেকে কার্যালয়ে ঢুকতে পারেন, পুলিশকে সেই বিষয়ে পুলিশকে পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’’

ইউনিয়নের পাল্টা দাবি, দুই দিনাজপুরের বিভিন্ন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও বিলিং কাউন্টারে ১৪৫ জন অনথিভূক্ত অস্থায়ী কর্মী কাজ করেন। তাঁরা প্রতিমাসে গড়ে ৩৫৭০ টাকা করে বেতন পান। অভিযোগ, অনথিভূক্ত অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে ৯ জন গত এপ্রিল মাস থেকে ও বাকি ১৩৬ জন গত জুন মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি।

protest unpaid wages
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy