সিকিমের রংপো থেকে গাড়ি নিয়ে শিলিগুড়িতে কাজে আসছিলেন প্রশান্ত প্রধান। গত সপ্তাহের কথা। শালুগাড়ার কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রশান্তবাবুর গাড়ি দাঁড় করান ৩ জন ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। গাড়ির নথিপত্র খুঁটিয়ে দেথার পর ওই কর্মীরা দেখেন, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট ঠিক নেই। ৩-৬ হাজার টাকার মধ্যে চালান কেটে ফাইন লাগবে বলে তারা জানান। প্রশান্তবাবু তা দিতে রাজি হতেই একজন এগিয়ে এসে বলেন, ফাইন জমা দিয়ে ১৪ দিন পর জলপাইগুড়ি আদালত থেকে কাগজপত্র নিয়ে নেবেন। সিকিম থেকে শিলিগুড়ি হয়ে আবার জলপাইগুড়ি, শুনেই চিন্তায় পড়েন রেস্তোরাঁর মালিক প্রশান্ত।
অভিযোগ, এরপরেই এক কোণে টেনে নিয়ে তাঁকে জানানো হল, ২ হাজার টাকা দিলেইে কাগজপত্র ঠিক করে নেওয়া যাবে। দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এক অফিসার তখন মাথাও নেড়ে দেন বলে অভিযোগ। শেষে রাজি হয়ে, কড়েকড়ে পাঁচশো টাকার চারটি নোট দিয়ে শিলিগুড়ি শহরে ঢুকে পড়েন প্রশান্ত। ফেরার সময়, ওই কর্মীরাই তাঁকে আবার রাস্তা থেকে হাসিমুখে হাতও দেখান।
এর দিন দশেক আগের ঘটনা। এনজেপি থেকে আশিঘর মোড় হয়ে পিকআপক নিয়ে রবীন্দ্রনগরের দিকে ঢুকছিলেন চালক বাবলু মোহন্ত। সিগন্যাল ভাল করে না দেখে এগোতেই বিপত্তি। এক পুলিশ কনস্টেবল এগিয়ে এসে কাগজপত্র দেখতে চান। সিগন্যাল ভাঙার জন্য ৫০০ টাকা ফাইন হবে বলে জানানো হয়। অভিযোগ, সঙ্গে বাড়ানো হয়, ডান হাতও। ১০০ টাকা দিয়েই বাবলবাবু গাড়ি নিয়ে রওনা হয়ে যান। শুধু আশিঘর মোড় বা শালুগাড়া নয়, জলপাইগুড়ির ৫০ কিলোমিটার দূরের আদালতে কথা বলে ট্রাফিক পুলিশের একাংশ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ। তেমনই হাসমিচক, বাগডোগরা, মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড়েও একইভাবে চলছে রসিদ না কেটে টাকা আদায় হয় বলে চালকদের অভিযোগ।