Advertisement
E-Paper

রেজিস্ট্রারের মেয়াদে শোরগোল

মেয়াদ শেষের পরেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদে একজন অধ্যাপককে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৩১ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ করেছেন দর্শনের অধ্যাপক অমল হোড়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৬

মেয়াদ শেষের পরেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদে একজন অধ্যাপককে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ৩১ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ করেছেন দর্শনের অধ্যাপক অমল হোড়। তার পরে অন্তত দু’সপ্তাহ তিনি কী ভাবে কাজ চালাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একটি অংশ। তাঁরা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তাঁদের দাবি, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একজন অধ্যাপককে সর্বাধিক ছ’মাস ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। পরে কার্যকরী সমিতিতে আলোচনা করে নতুন কাউকে বেছে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কোথাও কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী সমিতির বৈঠক। এই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হওয়ার আশঙ্কা। শুক্রবার কলকাতাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিং।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামল রায়কে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। বলেন, “আমি বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি। ওই বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।” তবে ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার অমলবাবু দাবি করেন, “কোথাও কোনও অনিয়ম হয়নি।” বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দাবি, উপাচার্য তাঁর ক্ষমতাবলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের মেয়াদ ছ’মাস বাড়িয়ে দিতে পারেন। কার্যকরী সমিতির বৈঠকেও ওই বিষয়টি রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকরী সমিতির বৈঠকে ওই বিষয়টি রাখা হল না কেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইনে উল্লেখ করা রয়েছে, একজন অধ্যাপক ছয় মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার পদে থাকতে পারেন না। নতুন কাউকে ওই দায়িত্ব দিতে হয়”। ওয়েবকুটার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্পাদক প্রণবকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। তাই অভ্যন্তরীণ বিষয় বাইরে বলতে পারি না। সংগঠনগত ভাবে যে প্রতিবাদ আমাদের করা দরকার সেটা করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু দিন আগেই স্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদ তৈরি হয়েছে। ওই পদের জন্য আবেদন পত্র নেওয়া হয়। আগের উপাচার্য থাকাকালীন ওই পদের জন্য লিখিত পরীক্ষাও হয়েছে। তারপর আর কিছুই এগোয়নি। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই পদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না।

Professor Registrar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy