ত্রাণ-সংগ্রহে: কলকাতায় গনি খান কলেজের পড়ুয়ারা।নিজস্ব চিত্র
কলকাতায় থেকে আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেদের রসদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। দু’বেলা খাবারের সংস্থান করতে তাই গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাঁরা অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। মালদহের গনি খান চৌধুরীর নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (জিকেসিআইইটি) সেই পড়ুয়ারাই বুধবার কলকাতার রাস্তায় নামলেন কেরলের বন্যাদুর্গতদের জন্য অর্থ সংগ্রহে। এ দিন বিকেলে অ্যাকাডেমি চত্বর থেকে বন্যাদুর্গতদের জন্য তাঁরা এই কাজ শুরু করেন। তবে পাশাপাশি এ দিন তাঁরা পথচলতি মানুষের কাছে নিজেদের দাবির কথাও তুলে ধরেন।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পক্ষে কলকাতা থেকে সাহিন জাহেদি, সুজন সরকাররা জানান, “ছ’বছর জিকেসিআইইটি কলেজে পড়ার পর যথাযথ সার্টিফিকেট না পেয়ে ও ল্যাটারাল এন্ট্রিতে ভর্তি হতে না পেরে আমরা প্রতারিত ঠিকই। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কেরলের মানুষ বিপন্ন। তাই সহমর্মী হিসেবেই আমরা সেই বিপন্ন মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতে চাই। সংগৃহীত অর্থ যথাযথ ভাবে আমরা কেরলে বন্যাপীড়িতদের জন্য পাঠাব।’’
এদিকে, কলকাতার সঙ্গে এ দিন মালদহের কলেজ চত্বরেও পড়ুয়াদের অবস্থান আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এ দিন তাঁদের আন্দোলন ৩২ দিনে পড়ল। ইদুজ্জোহার জন্য এ দিন কলেজ বন্ধ ছিল। তবে, আজ বৃহস্পতিবার কলেজ খোলা থাকছে। কিন্তু আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা কলেজের সমস্ত ব্লক তালাবন্ধ করে রাখায় পঠন-পাঠন কী ভাবে হবে তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।
২ অগস্ট থেকে পড়ুয়ারা কলেজের এ ও বি ব্লক বন্ধ করে দিয়েছিল। সোমবার দুপুরে কলেজের শিক্ষক-কর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার পর পড়ুয়ারা একমাত্র খোলা সি ব্লকেও তালা ঝুলিয়ে দেয়। ফলে মঙ্গলবার কলেজে নবাগত ডিপ্লোমা ও বিটেকে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের কোনও পঠন-পাঠনও হয়নি। বৃহস্পতিবারও না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ দিকে মালদহে আন্দোলনকারী পড়ুয়া নাসিম নাওয়াজ, আলমগির হোসেনরা জানান, ‘‘তাঁরা কলেজের তিনটি ব্লকই বন্ধ করেছি। আমাদের দাবি না মেটা পর্যন্ত এ ভাবেই কলেজকে অচল করে রাখা হবে। পড়ুয়াদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন কলেজ কর্তৃপক্ষের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy