Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
অভিযুক্ত পরিচালন কমিটির সভাপতি

স্কুল ও জমি বিক্রির নালিশ

তিরিশ বছরেরও বেশি পুরনো একটি শিশুদের বেসরকারি স্কুল এবং তার জায়গা পরিচালন কমিটিকে না জানিয়ে অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিবমন্দিরে সারদাপল্লির সবুজ শিশু মহল স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি স্নেহাংশুবিমল করঞ্জাইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগের তির।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০২:০৫
Share: Save:

তিরিশ বছরেরও বেশি পুরনো একটি শিশুদের বেসরকারি স্কুল এবং তার জায়গা পরিচালন কমিটিকে না জানিয়ে অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিবমন্দিরে সারদাপল্লির সবুজ শিশু মহল স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি স্নেহাংশুবিমল করঞ্জাইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগের তির।

স্নেহাংশুবাবু বলেন, ‘‘জায়গাটি স্কুল পরিচালন কমিটির হাতে নিখরচায় তুলে দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। কিছু প্রোমোটারও আনাগোনা শুরু করে। শরীর ভাল নেই। তাই পরিচিত কিছু মানুষদের নিয়ে একটি নতুন স্কুল পরিচালন কমিটি করেছি। পুরনো নামেই স্কুলটি নথিভুক্ত করানো হয়েছে। কিছু টাকার বিনিময়ে কমিটির চার জনের নামে জমিটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলটি নতুন কমিটি চালাবে।’’

স্কুলের শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের একাংশ জানান, স্কুলের ওই পাঁচ কাঠা জমি স্নেহাংশুবাবুরই। ১৯৮৪ সালে স্কুলটি ভাড়া বাড়িতে চালু হয়েছিল। এক বছর পর সেটি শিবমন্দিরে স্নেহাংশুবাবুর জায়গায় নিয়ে আসা হয়। সেই থেকে ওই জায়গায় স্কুল চলে আসছে। তবে স্কুলের কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। অসুস্থতার জন্য সব সময় স্নেহাংশুবাবু এখন আসতে পারেন না। বছরখানেক আগে স্কুলের জায়গা বিক্রির ব্যাপারে প্রমোটাররা যোগাযোগ করে। প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা রাউতের দাবি, এর পরেই ওই জায়গা স্কুলের কমিটির নামে করে দেওয়ার এবং স্কুলের নামে একটি সংস্থা খুলে রেজিস্ট্রেশন করার কথা তোলেন তাঁরা। গত ২৪ জানুয়ারি অভিভাবক, শিক্ষক, কর্মীদের নিয়ে সভা ডাকা হয়। সেখানে আট জনের একটি নতুন কমিটি তৈরি হয়। কমিটির সভাপতি রাখা হয় স্নেহাংশুবাবুকেই। সম্পাদক হন সন্ধ্যাদেবী। তাঁকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জমিটি স্কুলের কমিটির হাতে দিতে একটি খসড়া চুক্তিও করেন সভাপতি। স্কুলের তহবিলের টাকা সন্ধ্যাদেবী এবং স্নেহাংশুবাবুর সইয়ের ভিত্তিতেই ওঠে। ঠিক হয় মাসে সভাপতি হিসাবে ১০,২০০ টাকা পাবেন স্নেহাংশুবাবু। তাঁর অবর্তমানে তাঁর স্ত্রী পাবেন ওই টাকা।

১৭ জুন থেকে ৭ জুলাই স্কুলে গরমের ছুটি ছিল। অভিযোগ, গত শুক্রবার মর্নিং সেকশনের স্কুল চলার সময় স্নেহাংশুবাবু এবং তাঁদের পরিচিত কয়েকজন লোক স্কুলে যান। স্নেহাংশুবাবুর পরিচিতরা জানান, স্কুল এবং এর জায়গা তাঁরা কিনে নিয়েছেন। স্কুলটি এখন তাঁরাই চালাবেন। শিক্ষকেরা যেন তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। সে সময় সিনিয়র শিক্ষিকারা ছিলেন না। খবর পেয়ে তাঁরা স্কুলে পৌঁছানোর আগেই স্নেহাংশুবাবুরা চলে যান। শিক্ষিকারা এরপর পুলিশে অভিযোগ জানান। স্কুলে বর্তমানে চতুর্থশ্রেণি পর্যন্ত ২৫০ কচিকাঁচা পড়ে। সন্ধ্যাদেবী বলেন, ‘‘আমরা স্কুলের জায়গা ছাড়ব না। আমাদের মতো করেই স্কুল চলবে। অভিভাবকেরা আমাদের সঙ্গে আছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

School Committee Field Compalin
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE