বাম আমলে ফুলহার নদীতে সেতু তৈরির প্রস্তাব নিয়েছিল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ। তার পরে সেই নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। রাজ্যে পরপর দু’বার বিধানসভা ভোটে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়নি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের কাঠামোগত দুর্বলতাই যে এই দীর্ঘসূত্রতার কারণ, মেনে নিচ্ছেন প্রশসানিক কর্তারা। পর্ষদের নিজস্ব শক্তিশালী ইঞ্জিনিয়ারিং সেল নেই। পূর্ত-সেচ দফতর অথবা স্বশাসিত সংস্থাগুলির ওপরে কাজ রূপায়ণের দায়িত্ব দিতে হয়। কোন দফতর কোন কাজ করছে, তার তালিকা বের করে নিয়মিত নজরদারিও করতে হয়। ফলে অনেক কাজেই দেরি হয়।
এ বার সেই অবস্থা বদলাতে চলেছে। ঠিক হয়েছে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ছোট-বড় যাবতীয় কাজ করবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। গত বৃহস্পতিবার উত্তরকন্যায় পর্ষদের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘পর্ষদের কাজগুলি এত দিন নানান দফতর সামলেছে। তাতে প্রক্রিয়াগত ভাবে কাজ রূপায়ণে সময় লেগেছে। এ বার তাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে দিয়ে সব কাজ করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে সমন্বয় বাড়বে।’’
এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গত বৃহস্পতিবারে পর্ষদের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেও উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পর্ষদ। ঠিক হয়েছে, নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং সেল না থাকায় দফতরের পরামর্শদাতার কাজ করবে পর্ষদ। উত্তরবঙ্গের আট জেলা থেকেই পর্ষদে প্রতিনিধি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সব জেলা থেকেই যথাযথ প্রস্তাব জমা পড়বে বলে আশা। তবে প্রস্তাব করার কাজের খরচ কে বহন করবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অন্য দফতর অথবা সংস্থার ওপরে নির্ভর করতে হবে পর্ষদকে। এবং কাজ আটকে থাকার আশঙ্কাও রয়েছে। যদিও গৌতমবাবুর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন পর্ষদ পরামর্শদাতা সংস্থা হিসেবে কাজ করুক, উত্তরবঙ্গের কাজে সমন্বয় গড়ুক। অর্থ বরাদ্দ কোনও সমস্যা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy