Advertisement
E-Paper

নতুন ফল গৌড়বঙ্গে, বাড়ল বাইশও

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের পড়ুয়াদের দ্বিতীয় সেমেস্টারের খাতার পুনর্মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ হল সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২৪ জন পড়ুয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৩৪

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের পড়ুয়াদের দ্বিতীয় সেমেস্টারের খাতার পুনর্মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ হল সোমবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২৪ জন পড়ুয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদনের সময়সীমা ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, ‘‘২২৪ জন পড়ুয়ারই নম্বর বেড়েছে। সর্বনিম্ন ৪ থেকে সর্বোচ্চ ২২ নম্বর বেড়েছে। তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে খাতাগুলি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে।’’ কিন্তু পরীক্ষা নিয়মকের দফতর থেকে নতুন নম্বরের তালিকা এ দিন বিভাগে পাঠানো হয়নি। ফলে ছাত্রছাত্রীরা এ দিন সংশোধিত ফল হাতে পাননি।
প্রসঙ্গত, নম্বর বাড়ানোর দাবিতেই ২৭ জানুয়ারি প্রথম পরীক্ষা নিয়ামককে ঘেরাও করেছিলেন বাংলা বিভাগের ওই পড়ুয়ারা। ২৮ ঘণ্টা ঘেরাওয়ের পর আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়। একই ইস্যুতে শুক্রবার থেকে উপাচার্যকে ঘেরাও করেন তাঁরা। ৪৮ ঘণ্টা পর শাসকদলের জেলা নেতৃত্বের মধ্যস্থতায় রবিবার দুপুরে আন্দোলন তুলে নেন তাঁরা। তার এক দিন পরেই এ দিন বেরোল পুনর্মূল্যায়নের ফল।
এখন, নির্দিষ্ট সময়ে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করার পরেও কেন আবার তাঁরা নম্বর বাড়ানোর দাবিতে উপাচার্যকে ঘেরাও করলেন, তা নিয়েই শিক্ষমহলে উঠছে প্রশ্ন। যদিও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, নম্বর বাড়ানোর দাবিতে নয়, পরীক্ষা নিয়ামকের অপসারণের দাবিতেই তাঁদের আন্দোলন ছিল। অভিযোগ, তিনি গ্রেস নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরে বেঁকে বসেন। পরীক্ষা নিয়ামক অবশ্য প্রতিশ্রুতির কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, মালদহ কলেজ ও বালুরঘাট কলেজে বাংলায় স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়। স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগে ২৫০ জন ছাত্রছাত্রীর দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ২ সেপ্টেম্বর। পাঁচটি পেপারের প্রতিটিতে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ১০ নম্বর করে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট ছিল। সেই সেমেস্টারের ফল বেরোয় ২৫ জানুয়ারি। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, তাতে দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই কম নম্বর পেয়েছেন। বিশেষ করে, পঞ্চম পেপার কথাসাহিত্যে বেশির ভাগ পড়ুয়াদের গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই পেপারে ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় তাঁরা কেউ গড়ে ১৫, কেউ বা ১৭ নম্বর পেয়েছেন।
ওই ফলাফল বাতিল করার দাবিতে তাঁরা ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ঘেরাও করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খাতা পুনর্মূল্যায়নের পক্ষেই অনড় থাকায় শেষ পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন তুলে নেন। তার পরে পাঁচটি পেপারের মধ্যে কেউ একটি কেউ বা তিনটি পেপারের জন্য পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে সামনের সারিতে থাকা এক পড়ুয়া বলেন, পাঁচটি পেপারে মোট ২৫০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১৪১ পেয়েছেন। কথাসাহিত্যে পেয়েছেন মাত্র ১৬ নম্বর। কিন্তু যা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাতে কথাসাহিত্যে তাঁর অন্তত ২৬ নম্বর পাওয়ার কথা ছিল। গড় নম্বর দেওয়াতেই এই অবস্থা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। আর এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, তিনি ১৩৫ নম্বর পেয়েছেন। পঞ্চম পেপার কথাসাহিত্যে ১৭ পাওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় পত্রেও কম নম্বর পান। কিন্তু ওই নম্বর কখনওই তিনি পেতে পারেন না বলে তাঁর দাবি। তাঁর অভিযোগ, খাতার মূল্যায়ন ঠিকঠাক না করাতেই এমনটা হয়েছে।
আরও কয়েক জন বলেন, তাঁরা গড়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রজতকিশোর দে বলেন, ‘‘পরীক্ষার খাতা কে বা কারা দেখেন তা ঠিক করে বিভাগের বোর্ড অব স্টাডিজ। কিন্তু তার পরে কী হয়েছে তা আমাদের জানার বিষয় নয়।’’ তবে পুনর্মূল্যায়নের ফল এখনও ছাত্রছাত্রীদের হাতে না আসায় নতুন তালিকা নিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।

Gour Banga University,
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy