Advertisement
০২ মে ২০২৪
জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল

সহকর্মীদের হেনস্থার প্রতিবাদে নিরাপত্তা রক্ষীদের কর্মবিরতি

তৃণমূল কর্মীর হাতে সহকর্মী প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ এবং তাঁদেরই আবার থানায় আটকে রাখার প্রতিবাদে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে কর্মবিরতি করলেন নিরাপত্তা রক্ষীরা৷ তাই এ দিন দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের সব গেটই অরক্ষিত অবস্থায় ছিল৷

নিজস্ব সংবাদদাতা,
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৩৪
Share: Save:

তৃণমূল কর্মীর হাতে সহকর্মী প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ এবং তাঁদেরই আবার থানায় আটকে রাখার প্রতিবাদে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে কর্মবিরতি করলেন নিরাপত্তা রক্ষীরা৷ তাই এ দিন দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের সব গেটই অরক্ষিত অবস্থায় ছিল৷ শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ বিজয় বর্মন হাসপাতালে ছুটে গিয়ে আন্দোলনরত নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বললে কাজে যোগ দেন তাঁরা৷

শুক্রবার সকালে অসুস্থ এক মহিলাকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে দেখতে যান বাপি সিংহ নামে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এক কর্মী৷ অভিযোগ, সেই সময় ভিজিটিং আওয়ার্স না থাকায়, কর্তব্যরত এক নিরাপত্তা রক্ষী তাকে আটকালে বাপি সিংহ তাঁকে মারধর করেন৷ এরপর থানায় দুই নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ করে হাসপাতালে ভর্তি হন বাপি৷ এরপরেই পুলিশ দুই নিরাপত্তা রক্ষীকে নিয়ে যায়৷ রাত পর্যন্ত তাঁদের থানাতেই আটকে রাখা হয়৷ ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকেই হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা৷ যার জেরে দুপুর প্রায় দেড়টা পর্যন্ত হাসপাতালের গেটগুলি অরক্ষিত থাকে৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয়বাবু৷ শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি৷ ঘটনাটি নিয়ে হাসপাতাল সুপারকে দ্রুত রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দেন তিনি৷ তারপরই আন্দোলন তুলে নেন নিরাপত্তা রক্ষীরা৷

বিজয়বাবু বলেন, ‘‘আমি অভিযোগ পেয়েছি, ভিজিটিং আওয়ার্স না থাকা সত্ত্বেও দু’জন জোর করে হাসপাতালে ঢুকতে চান৷ তখন নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে নিগৃহীত হন৷’’ ঘটনায় হাসপাতাল সুপার কোনও ব্যবস্থাই নেননি বলে জানান তিনি। উল্টে সুপার অভিযুক্তদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন বলে অনেকে তাঁকে অভিযোগ করেছেন বলে জানান সাংসদ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা ঠিক হয়নি ৷ তাই আমি সুপারকে দ্রুত ঘটনাটি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছি৷’’তবে হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘আমি নিরাপত্তা রক্ষীদের পাশেই ছিলাম এবং এখনও পাশে রয়েছি৷’’ পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষীদের আটক করার পর তাঁদের থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা তিনি করছেন বলে জানান হাসপাতালের সুপার।

এ দিকে গোটা ঘটনায় সংগঠনের কর্মীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জী৷ তাঁর কথায়,‘‘বাপির কোনও দোষ ছিল না৷ নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁকে মারধর করেছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘সাংসদের উচিত সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা জানা৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Security guards Protest Strike Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE