Advertisement
১১ মে ২০২৪
খুচরোর অভাবে

বই বিক্রি কমছে মেলায়

নোটের ধাক্কা বইতেও। একে নোট বাতিল৷ তার ওপর আবার রয়েছে খুচরোর সমস্যা৷ এই দুইয়ের প্রভাব সরাসরি এসে পড়ল জলপাইগুড়ির বই মেলাতে৷ গুটি কয়েক স্টলে সোয়াইপ মেশিন বা পেটিএমের মাধ্যমে কেনা-কাটার সুযোগ থাকলেও, তা নগন্য হওয়ায় নোট-জট কাটছে না উত্তরের এই বই মেলাতে৷

বিক্রি বাড়ার আশায় রয়েছে মোবাইল ওয়ালেটে দাম দেওয়ার সুযোগও। — নিজস্ব চিত্র

বিক্রি বাড়ার আশায় রয়েছে মোবাইল ওয়ালেটে দাম দেওয়ার সুযোগও। — নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৮
Share: Save:

নোটের ধাক্কা বইতেও।

একে নোট বাতিল৷ তার ওপর আবার রয়েছে খুচরোর সমস্যা৷ এই দুইয়ের প্রভাব সরাসরি এসে পড়ল জলপাইগুড়ির বই মেলাতে৷ গুটি কয়েক স্টলে সোয়াইপ মেশিন বা পেটিএমের মাধ্যমে কেনা-কাটার সুযোগ থাকলেও, তা নগন্য হওয়ায় নোট-জট কাটছে না উত্তরের এই বই মেলাতে৷ ফলে হতাশ বই বিক্রেতাদের অনেকেই বলছেন—মেলায় ভিড় ভাল হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বই বিক্রি সেভাবে হচ্ছে না৷

সোমবার জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হয়েছে ২৮তম জেলা বই মেলা৷ মেলায় বসেছে আশিটি স্টল৷ যার মধ্যে আনন্দ, দে’জ সহ কলকাতার বড় বড় পাবলিশারদের স্টলও রয়েছে৷ দুপুর একটায় বই মেলা খুলতেই ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই৷ সন্ধ্যার পর ভিড় আরও বাড়ছে৷ তবু হাসি নেই অনেক বই বিক্রেতার মুখেই৷

কলকাতার একটি প্রকাশনী সংস্থার স্টলের কর্মী রঞ্জিত মল্লিক বলেন, “প্রচুর মানুষ বই মেলায় আসছেন৷ বই দেখছেনও৷ কিন্তু কিনছেন কম৷” কলকাতার আরেক প্রকাশনা সংস্থার স্টলের কর্মী অরবিন্দ পাত্র বলেন, “যারা বই কিনতে চাইছেন তাঁদের বেশিরভাগই দুই হাজার টাকার নোট দিচ্ছেন৷ এত খুচরো দেবো কোথা থেকে? তাই অনেক গ্রহককেই ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে৷”

সংখ্যায় কম হলেও, কলকাতার কয়েকটি প্রকাশনার স্টলে কিন্তু সোয়াইপ মেশিন বা পেটিএমের সাহায্যে বই বিক্রি চলছে৷ সেই সব স্টলে বই বিক্রির হার খানিকটা হলেও বেশি৷ তেমনই একটি স্টলের কর্মী সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নোট সমস্যার জন্য এবার বইমেলায় বিক্রি খানিকটা কম হবে ধরাই ছিল৷ তবে ক্রেতারা মোটের উপর ভালই আসছেন৷ যাঁরা বই কিনছেন তাদের পঁচিশ শতাংশ কার্ডেই পেমেন্ট করছেন৷” আরেকটি স্টলের কর্মী অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী বলেন, “নগদের সমস্যার জন্যই আমাদের স্টলে পেটিএমের মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে৷ অনেকেই এই ব্যবস্থায় বই কিনছেন৷” বইমেলায় যাওয়া কলেজ ছাত্র অসিত সরকার বলেন, “কার্ডে পেমেন্ট হলে খুবই সুবিধে হয়৷ কিন্তু অনেক স্টলেই সেই ব্যবস্থা নেই৷”

জলপাইগুড়ি জেলার গ্রন্থাগারিক দেবাশিস মিশ্র বলেন, “এটা ঘটনা যে, মেলায় প্রচুর মানুষ ভিড় করলেও, বই বিক্রি কমই হচ্ছে৷ তা ছাড়া খুচরোর সমস্যাও রয়েছে৷ ফলে তারও একটা প্রভাব রয়েছে মেলায়৷ কিন্তু এই সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য বড় বড় পাবলিশারদের সোয়াইপ মেশিন আনতে অনুরোধ করা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই পাবলিশাররা সেলারদের পাঠিয়েছেন৷ বেশিরভাগই মেশিন না আনায় সমস্যা হচ্ছে৷” তবে বাকি দিনগুলিতে খুচরোর সমস্যা মেটানো যায় কি না, তা নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান জেলা গ্রন্থাগারিক৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

book fair demonetisation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE