Advertisement
E-Paper

জেলা হাসপাতালে চালু হওয়ার পথে ডিজিটাল এক্স-রে

জেলা হাসপাতালে পিপিপি মডেলে ডিজিটাল এক্সরের ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে ওই কাজ অনেকটা এগিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৬ ০২:১২

জেলা হাসপাতালে পিপিপি মডেলে ডিজিটাল এক্সরের ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে ওই কাজ অনেকটা এগিয়েছে।

এক কোটির বেশি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড এক্সরে মেশিন কেনা হয়েছে। আনা হয়েছে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। হাসপাতাল চত্বরের একটি ঘরে ওই এক্সরে চালুর অন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজও প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৭ জুন কলকাতার একটি সংস্থাকে ওই সব সামগ্রী হস্তান্তর করা হবে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জেলা সদরের ওই হাসপাতালে ডিজিটাল এক্সরের পরিষেবাও চালু হয়ে যাবে।

কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে পরিষেবার সুবিধে চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলা হাসপাতালে দীর্ঘ দিন ধরে দু’টি সাধারণ এক্সরে মেশিনে পরিষেবা দেওয়া হয়। এক্সরে প্লেট না থাকা, যান্ত্রিক ত্রুটি-সহ নানা কারণে একাধিক বার পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ফলে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্সরে পরিষেবা চালুর দাবি নিয়ে অনেকে সরব হন। সব কিছু পর্যালোচনার পর প্রায় এক বছর আগে পিপিপি মডেলে ডিজিটাল এক্সরে পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই ভিত্তিতে প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোর দায়িত্ব স্বাস্থ্য দফতর দিলেও সেটি পরিচালনার দায়িত্ব পায় কলকাতার একটি সংস্থা।

কোচবিহার জেলা হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “৭ জুন ওই সংস্থার প্রতিনিধিরা কোচবিহারে আসবেন। সে দিন পরিকাঠামো হস্তান্তর হওয়ার কথা। পরিষেবা চালু হলে অপেক্ষাকৃত কম খরচে ডিজিটাল এক্সরের সুবিধে মিলবে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য পুরোপুরি নিখরচায় পরিষেবার সুবিধে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্লেটের মাধ্যমে জেলা হাসপাতালে নিখরচায় এক্সরে করা হয়। ফলে ওই ব্যবস্থাও চালু থাকবে। তবে ছবির স্পষ্টতা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল এক্সরের চাহিদা বেড়েছে। এখানে আগ্রহীরা বাইরের ল্যাবরেটরির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে পরিষেবা পাবেন। প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দেখালে দরিদ্র কিংবা দারিদ্র্য সীমার বসবাসকারীদের নিখরচায় পরিষেবা দেওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে মাসে গড়ে যত সংখ্যক রোগী ডিজিটাল এক্সরে করাবেন, তাঁদের মধ্যে ২০ শতাংশ রোগী নিখরচায় সুবিধে পাবেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ডিজিটাল এক্সরে চালু হলে তা সংরক্ষণ, দ্রুত চিকিৎসককে পাঠানো, ছবির গুণগতমান ভাল হবে। সেই সঙ্গে এক্সরে প্লেট কেনার খরচের চাপও খানিকটা কমবে। দফতরের কয়েক জন আধিকারিক জানান, সব মিলিয়ে ওই কাজে ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। মেশিনের দামই পড়েছে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও ৫০০ কেভির নতুন ট্রান্সফরমার বসানো ও আনুষঙ্গিক কাজে খরচ হয়েছে ৬২ কোটি টাকা। বাকি টাকায় পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারাও জানান, সময়ের চাহিদায় ডিজিটাল এক্সরে দরকার ছিল।

district hospital digital X-ray
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy