এ যেন রূপকথার গল্প। এতদিনের পরিচিত ভাঙা নোংরা অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের ছবিটা রাতারাতি বদলে যাওয়ায় রীতিমতো অবাক প্রিয়া, লক্ষ্মী, সুপর্ণা।
মালদহে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মানেই বেশিরভাগ ভাড়া করা ঘর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫৫৭৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ভাড়ার ঘরের সংখ্যা অন্তত ১৭৮০। সে গুলিতে আবার পানীয় জল বা শৌচাগারের কোনও ব্যবস্থাই নেই। রান্নাঘরের অবস্থাও অবর্ণনীয়। সেই কেন্দ্রগুলিতেই শিশুরা পড়ছে, খেলছে, খাচ্ছে। আবার, ভাড়া গুণতে না হলেও প্রায় ২১৫০টি কেন্দ্র চলে কারও বাড়ির ঘরে বা বারান্দায়। পুরনো নিজস্ব ভবন যে কেন্দ্রগুলির রয়েছে সেগুলিরও ভাঙাচোরা। সব ভবনে পানীয় জলেরও ব্যবস্থাও নেই।
পরিস্থিতি বদলাতে হচ্ছে ঝাঁ-চকচকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। যার নাম “শিশু আলয়”। বালা অর্থাৎ বিল্ডিং অ্যাজ লার্নিং এইড- এই মডেলেই তৈরি হচ্ছে সেগুলি। প্রশাসন সূত্রেই খবর, ২০৯টি শিশু আলয় তৈরির কাজ চলছে জেলায়। আরও ২৪৯টি তৈরির অর্থ চেয়ে প্রস্তাব গিয়েছে রাজ্য শিশু ও নারী উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দফতরে। শনিবার ৫০টির উদ্বোধনও হয়েছে। এ দিন পুরাতন মালদহের মুচিয়ার জামাইপাড়া শিশু আলয়টির উদ্বোধন করেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি সরলা মুর্মু।