ঝকঝকে রোদেই শুরু হয়েছিল সকালটা। কিন্তু বেলা বাড়তেই মুখ ভার আকাশের। নববর্ষের দিনই ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হল পাহাড়-সমতলের বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন। শনিবার দুপুর থেকে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় কমবেশি ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। বাজ পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কোচবিহারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুর্যোগ চলতে পারে আরও এক দিন।
ঘূর্ণাবর্তের অবস্থানের জেরেই পয়লা বৈশাখে বিপত্তি বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রির বেশি। তাপমাত্রা বেশি থাকায় একটি নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়। দুইয়ের প্রভাবেই উত্তরের দুর্যোগ বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। ঘূর্ণাবর্তের টানে বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমাগত জলীয় বাষ্প ছুটে আসার কারণে দুপুরের পর ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে।
মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় এ দিন দুপুরের পর থেকে ঝড় বয়ে যায়। সঙ্গে বৃষ্টি। দুপুর থেকে মেঘে ঢাকা পড়ে কোচবিহারের আকাশও। বিকেল থেকে শুরু হয় হালকা বৃষ্টি। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির জোর বাড়তে শুরু হওয়ার পরে পানিশালায় ঘনঘন বাজ পড়তে থাকে। বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে এলাকার এক কৃষকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম উত্তম রায় (৪৫)। মালদহে আমের ফলনেও ধাক্কা লেগেছে।
দুযোর্গের প্রভাব পড়েছে উৎসবেও। রাত জেগে শিলিগুড়ির রাস্তায় আল্পনা এঁকেছিলেন শিল্পীরা। বাঘাযতীন পার্ক লাগোয়া রাস্তায় আঁকা সেই আল্পনার রঙ অনেকটাই ধুয়ে গিয়েছে বৃষ্টিতে। নববর্ষের সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছিল শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া বেঙ্গল সাফারি পার্কে। আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়তেই সেই ভিড় পাতলা হতে শুরু করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy