প্রতীকী চিত্র।
কলকাতার পরেই শিলিগুড়ি রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর বলে অনেক সময়ই দাবি করা হয়। অথচ উচ্চশিক্ষার উন্নত ব্যবস্থা এখনও এখানে সেভাবে গড়ে ওঠেনি।
অভিযোগ শহরের বাসিন্দাদেরই। বলার মতো রয়েছে জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ আর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ডাক্তারি পড়াশোনার জন্য এইমস-এর ধাঁচে কোনও প্রতিষ্ঠান বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)-র মতো ব্যবস্থা নেই।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন প্রধান দেবব্রত মিত্রর কথায়, ‘‘ভাল জায়গায় পড়াশোনার চাহিদা বেড়েছে। তাই যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁরা অধিকাংশই কলকাতা, দিল্লি, বম্বে, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ চলে যাচ্ছেন।’’ শিলিগুড়ি ইন্সস্টিটিউট অব টেকনোলজি গড়ে উঠলেও তা সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে না বলে দেবব্রতবাবুর দাবি।
ম্যানেজমেন্টে নিয়ে পড়াশোনা যারা করতে চান তারাও খোঁজেন ভাল প্রতিষ্ঠান। কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের শংসাপত্রকে অগ্রাধিকার দেন সেখানেই পড়ার ঝোঁক থাকে। অথচ উত্তরবঙ্গে সে ধরনের প্রতিষ্ঠান এখনও নেই। তবে উত্তরবঙ্গে যে মেধা নেই তা নয়। কারণ উত্তরের অনেক পড়ুয়ায় অন্য জায়গা থেকে ম্যানেজমেন্ট পড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
উচ্চমানের ডিগ্রি কলেজও তেমন নেই। কলকাতায় যেমন প্রেসিডেন্সি কলেজ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন কলেজ, শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স, হিন্দু কলেজ, হংসরাজ কলেজ এখানে তেমন কই? প্রশ্ন পড়ুয়াদেরই। শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত ঘোষ জানান, এই পদে বসার জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউতে যখন গিয়েছিলেন তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গে ভাল কোনও কলেজ গড়ে ওঠেনি কেন? তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বা কাছাকাছি। নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার মতো অর্থ তাদের সকলের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই ওই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো গড়ার দিকে উৎসাহ কম। আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা একটা বড় বাধা।’’
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী থাকার সময় ডুয়ার্সে হিন্দি কলেজ, আইটিআই কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়়তে উদ্যোগী হন বর্তমানে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ হয়েছে রাজগঞ্জ ব্লকে। পাহাড়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের ক্যাম্পাস করছে। তবে আইআইটি বা এইমস-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে কেন্দ্রের অনুমোদন একটা বড় ব্যাপার। তা এখনও হয়ে ওঠেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy