সাদা পোশাকের পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল হোটেলের রুম। দরজা খোলার সময়ও তৃণমূলের নেতা তপন দাম বুঝতে পারেননি বাইরে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতার একটি হোটেলের রুম থেকে বাইরে বেরিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তপনবাবু।
বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধানের ঘনিষ্ঠ ওই নেতার গ্রেফতারের ঘটনা চাউর হতেই হইচই পড়ে যায়। কালীপুজোর সন্ধ্যায় দলেরই প্রাক্তন ব্লক সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত সরকারকে সাংসদ বিজয় বর্মনের গাড়ি থেকে নামিয়ে ছুরি মারার অভিযোগ ওঠে তপনবাবু ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
লক্ষ্মীবাবু দলের জেলা সভপাতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামী বলে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথবাবু নিজেও অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হন। এ দিন তিনি বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। আর কিছু বলার নেই।” অর্ঘ্যবাবু বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। আইন আইনের পথেই চলবে।”
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন থেকেই এলাকা থেকে পালিয়ে তপনবাবু শিলিগুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে একটি নার্সিংহোমেও ভর্তি হন তিনি। পুলিশের কাছে সে খবর পৌঁছে গিয়েছে বুঝতে পেরে নার্সিংহোম থেকে ছুটি নেন তপনবাবু। ২৫ অক্টোবর তৃণমূলের বৈঠকের দিনই কলকাতা পৌঁছন তপনবাবু। পুলিশের একটি দল তাঁর পিছু নিয়েও তাঁকে ধরতে হয় ব্যর্থ হয়। অবশেষে তপনবাবুর এক ঘনিষ্ঠের কাছেই তিনি ঠিক কোথায় রয়েছেন তা জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy