শ্রমিক সংগঠনের শক্তি ক্রমশ ‘হ্রাস’ পেতে থাকায় চা বলয়ে বন্ধ নিয়ে সে ভাবে প্রচার করা যায়নি বলে বুধবারই মেনেছিলেন বাম-ডান শ্রমিক সংগঠনের একাধিক নেতা। তার জেরে বৃহস্পতিবার কার্যত স্বাভাবিক কাজকর্ম হতে দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের বেশিরভাগ চা বাগানে। একই ছবি ছিল জলপাইগুড়িতেও। বন্ধে চা বাগানের এমন পরিস্থিতি দেখে তার কৃতিত্বের দাবি তুললেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল ও বিজেপির নেতারা।
করোনা আবহে আলিপুরদুয়ারের চা বাগানগুলিতে বন্ধের প্রভাব কতটা পড়ে, এ দিন সে দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক নেতাদের অনেকেরই। কিন্তু সকাল থেকেই আলিপুরদুয়ারের অনেক চা বাগানে স্বাভাবিক কাজ হতে দেখা যায়। কয়েকটি বাগানে অবশ্য কাজ বন্ধ ছিল। কয়েকটিতে শ্রমিকদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে ইউটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি নির্মল দাসের দাবি, চা বাগানে বন্ধ সফল। সিটুর আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ গুন বলেন, “সব বাগানে আমাদের ইউনিয়ন শক্তিশালী নেই। যেখানে শক্তিশালী সংগঠন ছিল, সেখানে বন্ধ হয়েছে।”
চা বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অসীম মজুমদারের অবশ্য দাবি, “আলিপুরদুয়ারের বেশিরভাগ চা বাগানে একমাত্র আমাদের ইউনিয়ন রয়েছে। আর আমাদের সংগঠনে থাকা শ্রমিকেরা কখনওই কর্মনাশা বন্ধের সমর্থক নন। তাই তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হননি।”