ট্রাক ও ট্রাক্টরের ডালায় করে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো রুখতে এ বার চা শ্রমিক সংগঠনই পথে নামার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আদিবাসী শ্রমিক সংগঠনের অন্যতম নেতা জন বারলা বুধবার এ কথা জানান। জনের কথায়, ‘‘ডুয়ার্সের প্রতিটি ব্লকে গড়ে চার পাঁচটি বাগানে এখনও ট্রাক্টর বা ট্রাকে করে স্কুলে যাতায়াত করছে ছাত্র ছাত্রীরা। যে কোনও দিন একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আমরাই ভাবছি বাগানের এ সব গাড়িগুলিতে পড়ুয়াদের যাতায়াত রুখে দেব।’’
১৯৮৯ সালে শ্রমদফতরের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী পড়ুয়াদের পরিবহণের দায়ভার বাগান কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলেও শুধুমাত্র বাসেই যে পরিবহন চলবে তা চুক্তিতে উল্লেখ ছিল না। সেই সুযোগে অনেক বাগানে এখনও পণ্যবাহী গাড়িতেই যাতায়াত চলছে। চলতি সপ্তাহে তেলিপাড়া চা বাগানে দুর্ঘটনার শিকার হয় এমনই একটি পড়ুয়া বোঝাই ট্রাক্টর। এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটে তাই কড়া পদক্ষেপ করতে চায় শ্রমিক সংগঠনগুলি।
এই ব্যবস্থা বন্ধ হোক তা চাইছে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিও। মালবাজারের আদর্শ বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত দত্ত বলেন, ‘‘ট্রাক্টরের ডালা খুলে পড়ুয়াদের পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও এই প্রথা কিন্তু সমানেই চলছে। দ্রুত সব চা বাগানেই বাস ব্যবহার শুরু করা উচিত।’’ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির শিলিগুড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক অসীম চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘দ্রুত পরিস্থিতির বদল ঘটা দরকার।’’
মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতিও এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবহন নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘‘চা বাগান কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলে বাসের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায় সেটা দেখতে বলব।’’ টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গ শাখার সহকারী চেয়ারম্যান অনির্বাণ মজুমদারও প্রতিটি বাগানে বাস চালুর পক্ষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy