Advertisement
০৮ মে ২০২৪

গাজলে ব্লক নেতা সরলেন

মালদহ জেলায় গাজল ছাড়া আর কোনও ব্লকেই তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন না। কিন্তু মাত্র আট মাসের মধ্যেই সেই গাজোল ব্লকের দলীয় সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রঞ্জিত বিশ্বাসকে। তবে তাঁকে রেখে ব্লকে দল পরিচালনার জন্য পাঁচ জনের একটি কোর কমিটি করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০২:১১
Share: Save:

মালদহ জেলায় গাজল ছাড়া আর কোনও ব্লকেই তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন না। কিন্তু মাত্র আট মাসের মধ্যেই সেই গাজোল ব্লকের দলীয় সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রঞ্জিত বিশ্বাসকে। তবে তাঁকে রেখে ব্লকে দল পরিচালনার জন্য পাঁচ জনের একটি কোর কমিটি করা হয়েছে।

যদিও কোর কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে গাজল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রভাত পোদ্দারকে। প্রসঙ্গত, রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। তাঁকে ওই কোর কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। দলের একাংশের মতে, ব্লকে নব্য ও পুরোনো তৃণমূল সদস্যদের দ্বন্দ্বের জেরেই মূলত সভাপতি পদে কোপ পড়ল রঞ্জিতবাবুর।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় ১৫টি ব্লকের মধ্যে গাজল বাদ দিয়ে বাকি ১৪টি ব্লকে দলের কোনও ব্লক সভাপতি বা কমিটিই নেই। সমস্ত কমিটিই এক বছরের বেশি সময় ধরে ভাঙা রয়েছে। গত ২১ জুলাই কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন গাজলের সিপিএম বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। তাঁর স্বামী রঞ্জিতবাবুও সে দিন যোগ দেন। পরের মাসে দল রঞ্জিতবাবুকে গাজল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি করে। কিন্তু আট মাসের মধ্যেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। রবিবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘রাজ্যের নির্দেশে রঞ্জিতবাবুকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে ওই ব্লকে দল পরিচালনার জন্য একটি কোর কমিটি করা হয়েছে। সেখানে অবশ্য রঞ্জিতবাবু আছেন। এ ছাড়া প্রভাত পোদ্দার, সুশীল রায়, জয়ন্ত ঘোষ, দিলরুবা ইয়াসমিন রয়েছেন। দীপালিদেবীকে আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে।’’

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কী এমন হল যে রঞ্জিতবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হল?

দলের একাংশ জানিয়েছে, রঞ্জিতবাবু দায়িত্ব পাওয়ার পর দলে পুরোনো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আমল দেওয়া হচ্ছিল না। বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচিতে তাঁদের ডাকাও হত না।

বীতশ্রদ্ধ হয়ে এই কয়েক মাসে অনেকে পুরোন কর্মী দলও ছাড়েন। বুথ ও অঞ্চল স্তরে দলের যে সমস্ত কমিটি গঠন হচ্ছিল, সেখানেও নব্য তৃণমূলীদের ঠাঁই হচ্ছিল। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়ছিল এবং দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অনেকে অভিযোগ করে. এছাড়া আদিনা হিমঘরে দলের গোহারা হার ও কয়েকদিন আগে রঞ্জিতবাবুর নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনাকে দল ভালো চোখে নেয়নি।

ফলে সভাপতি পদে কোপ পড়ল বলে অনুমান। যদিও এ সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দলের জেলা সভাপতি। রঞ্জিতবাবুর মোবাইল সুইচড অফ থাকায় তাঁর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE