বিক্ষোভ তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
ভোট ঘোষনা হতেই প্রার্থী পদকে ঘিরে ফের মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রকাশ্যে এসে পড়ল শাসক দলের দ্বন্দ্ব। ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ এক নেতাকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই একাংশ। শনিবার সন্ধ্যায় কুশিদা-জয়বাংলা বাসস্ট্যান্ডে ওই বিক্ষোভকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।
রীতিমতো ফেস্টুনে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ নুরের ছবি দিয়ে ও বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলা নেতাকে মানছি না বলে লেখা ফেস্টুন হাতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘনিষ্ঠ হওয়ায় চাঁচলের বিধায়ক টাকার বিনিময়ে নুরকে প্রার্থীপদ ‘বিক্রি’ করছেন বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘আসলে দলে থেকে যারা টাকা তুলছিলেন তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে টাকা নেওয়া যাদের স্বভাব তারা এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। প্রার্থী কে হবেন তা জেলা নেতৃত্ব স্থির করবে। এখনও আমরাও জানি না, কে কোথায় প্রার্থী হবেন।’’
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ নুর আজম আবার ওই অঞ্চলের দলীয় সভাপতিও। একসময় তাঁর ছায়াসঙ্গী ছিলেন তৃণমূল নেতা অলক পোদ্দার। তার স্ত্রী আরাধনা কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। কিন্তু অঞ্চল সভাপতি পদকে ঘিরে দুই নেতার দ্বন্দ্ব সামনে এসে পড়ে। উভয়পক্ষের অনুগামীরাই একাধিকবার রাস্তায় নেমে একে অন্যের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। বন্যাত্রাণের টাকা আত্মসাত, চাকরি দেওয়ার নামে নুরের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ তোলেন অলক।
ভোট ঘোষনার পর সেই নুর জেলা পরিষদে প্রার্থী হচ্ছেন এমন কথা তারা দলীয় সূত্রে জেনেছেন বলে অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান কুশিদা ও লাগোয়া বরুই এলাকার দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ। যারা অলকের গোষ্ঠীর পাশাপাশি বিধায়কের বিপক্ষ গোষ্ঠীর বলেই পরিচিত। অলক বলেন, ‘‘চাকরি, ভোটের টিকিট দেওয়ার নামে নুর টাকা তুলছেন। তারপরেও উনি প্রার্থী হবেন শুনে দলের কর্মীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’
নুর অবশ্য বলেন, ‘‘বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অলক দলের ক্ষতি করে চলেছেন। প্রতিবাদ করায় আমাকে নিশানা করা হচ্ছে। প্রার্থী কে হবেন সেটা দল স্থির করবে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘‘এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। কুশিদায় কি হয়েছে তা দলীয়স্তরে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy