Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নানা দাবিতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ঘেরাও টিএমসিপির

উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের উন্নয়নে এবং রোগী পরিষেবার জন্য বরাদ্দ অন্তত ৮০ লক্ষ টাকা সময়ে খরচ করতে না পারার জন্য ফেরত গিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘেরাও বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে শাসক দল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাত্র সংসদের সদস্যরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখল কলেজের অধ্যক্ষকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০২:৩২
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের উন্নয়নে এবং রোগী পরিষেবার জন্য বরাদ্দ অন্তত ৮০ লক্ষ টাকা সময়ে খরচ করতে না পারার জন্য ফেরত গিয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘেরাও বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলে শাসক দল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছাত্র সংসদের সদস্যরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখল কলেজের অধ্যক্ষকে। শুধু অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখাই নয়, কলেজের প্রবেশ ফটকে তালা মেরে অন্য শিক্ষকদেরও তারা বাইরে বার হতে দেননি। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এক্সরে ফিল্ম নেই, এক সপ্তাহ ধরে তাই এক্সরে বন্ধ রয়েছে। দাঁত বাঁধানোর সরঞ্জাম নেই। কলেজের গ্রন্থাগারিক পদে লোক এখনও নেওয়া হয়নি। সাড়ে চার লক্ষ টাকা বই কেনার খাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই টাকা খরচ না করতে পারকায় ফেরত গিয়েছে। একই ভাবে কলেজ ভবনে সেন্ট্রাল এসি করার লক্ষ ৩১ লক্ষ টাকা, লিফটের ব্যবস্থা করতে বরাদ্দ ১৮ লক্ষ টাকা, চিকিৎসা সামগ্রী কেনার জন্য ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে না পারায় ফেরৎ গিয়েছে। এ দিন রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অধ্যক্ষের আশ্বাসে অবশেষে ঘেরাও তোলেন পড়ুয়ারা।

ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ সৌমেন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পড়ুযাদের দাবির বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।’’ তিনি দাবি করেন, সেন্ট্রাল এসি করার ওই অর্থ পরে পাওয়া যাবে। লিফটের বরাদ্দ টাকাও মিলবে। চিকিৎসা সামগ্রী কেনার একাংশ টাকা খরচ করাও হয়েছে। বাকিটা কেনার পরিকল্পনাও রয়েছে। গ্রন্থাগারের জন্য বই কেনার খাতে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল তা আবার চাওয়া হবে। কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা থেকে অধ্যক্ষের ঘরে ঘেরাও আন্দোলন শুরু করেন তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাদের অভিযোগ, আগেও এই সমস্ত সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। এ দিন তাই বাধ্য হয়ে ছাত্র সংসদের তরফে ঘেরাও আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবদীপ কুইলা বলেন, ‘‘রোগী পরিষেবার অনেক সরঞ্জাম নেই। দাঁত বাঁধানোর সরঞ্জাম না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এক্স রে ফিল্ম পর্যন্ত নেই। এ ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা চালাতে জুনিয়র চিকিৎসকদেরও সমস্যা হচ্ছে। তা ছাড়া কলেজের উন্নয়নে নানা খাতে বরাদ্দ টাকা সময়ে খরচ করতে না পারার জন্য ফেরত গিয়েছে। সে সব ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে অধ্যক্ষকে স্পষ্ট করে জানানোর দাবি করা হয়েছে। তা না জানানোয় আমাদের আন্দোলন রাত পর্যন্ত চালাতে বাধ্য হয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE