মমতাকে উপহার গুরুঙ্গের। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পষর্দের কাজে জিটিএ যাতে কোনও বাধা সৃষ্টি না করতে পারে, তা দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানবেন হরকাবাহাদুর ছেত্রী। মঙ্গলবার নিজেই এ কথা জানিয়েছেন কালিম্পঙের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জন আন্দোলন পার্টি বা জাপের সভাপতি। সম্প্রতি শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় এক প্রশাসনিক বৈঠকের পর পষর্দের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে হরকার নাম মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন।
এ দিন থেকে পাহাড়ে রাষ্ট্রপতির নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সোমবার পাহাড়ে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দু’দিন তাঁর দার্জিলিঙে থাকার কথা। এর ফাঁকেই আজ, বুধবার হরকাবাহাদুর ছেত্রীর নেতৃত্বে জাপের নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাতে চান। হরকা বলেন, ‘‘আমরা বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। পাহাড়ের নানা বিষয় সম্বলিত একটি স্মারকলিপি মুখ্যমন্ত্রীকে দেব।’’
উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবেই হরকাবাহাদুর জানান, পাহাড়ে বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। কালিম্পঙে ছোট ছোট ধস নেমে কিছু বাড়িঘরও ক্ষতি হয়েছে। অন্যত্র অবস্থার কথা খোঁজখবর নিচ্ছি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, পর্ষদ থেকে মানুষের জন্য আমরা কাজ করব। কিন্তু সেখানে জিটিএ যাতে কোনও ভাবেই বাধার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, অতীতে আমরা দেখেছি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে জিটিএ পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ করতে দেয়নি। বিষয়টি আদালত অবধি গড়িয়েছিল। এতে তো মানুষের উন্নয়নের কাজ করা মুশকিল। পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচন, জমির অধিকার ঠিকঠাক রয়েছে কি না দেখতে সমীক্ষা, কালিম্পং জেলার প্রশাসনির কাঠামো তৈরি, কালিঝোরাকে কালিম্পং জেলায় আনা, সেন্ট জোসেফ কলেজে শূন্যপদ পূরণের মত বিষয়গুলি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।
এই প্রসঙ্গে জিটিএ সদস্য তথা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘‘জিটিএ-র এলাকায় জিটিএ কাজ করবে। এতে আবার নতুন করে বলার কী আছে।’’ তার পরেই রোশন জানান, আমরা আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করব। জিটিএ সম্পর্কিত অনেক কিছু বলার রয়েছে। বহু দফতর এখনও হস্তান্তর হয়নি। রাজ্যে বরাদ্দ টাকা আমরা ঠিক মতো পাচ্ছি না। মোর্চা সূত্রের খবর, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা, স্কুল ও কলেজ সার্ভিস কমিশন, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের মত দাবিগুলিও মোর্চা ফের মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন দলের প্রতিনিধিরা।
জিএনএলএফ নেতারা এখনও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় পাননি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনবি ছেত্রী বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় ঠিক করার চেষ্টা করছি।’’ দলের তরফে ষষ্ঠ তফসিল নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy