প্রতীকী ছবি।
পাহাড়ে জমাটি শীত পড়েছে। সিকিমের ছাঙ্গু লেকে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে খুব বেশি সময় উঠছেই না। নাথুলায় তাপমাত্রা এখনই ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে চলে যাচ্ছে। এ দিকে পাহাড় লাগোয়া শিলিগুড়িতে কিন্তু এখনও তেমন শীত পড়েনি। দিনের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছেপিঠে থাকছে। তবে বিশেষজ্ঞরা উপগ্রহ চিত্র দেখে আভাস দিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে দু-একদিনের মধ্যেই ঘূর্ণাবর্তের হাত ধরে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড় ও লাগোয়া সমতলে অল্পবিস্তর বৃষ্টি হতে পারে। তারই সৌজন্যে শুরু হয়ে যেতে পারে শীতেরও।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক রঞ্জন রায় বলেন, ‘‘বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব ভাগে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে। সেই মেঘপুঞ্জের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে পাহাড়ে ও লাগোয়া সমতলেও। তারই প্রভাবে ঠান্ডা পড়তে পারে। তবে বৃষ্টি না হলেও আশাহত হওয়ার কারণ নেই বলে দাবি রঞ্জনবাবু।
শিলিগুড়িতে শীত এখনও না পড়লেও পাহাড়ে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ায় তা উপভোগের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় যাচ্ছে পাহাড়ের দিকে। রবিবার দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙের ছবিটা তেমনই ছিল। শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটের ছোট গাড়ির চালকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন শিলিগুড়ি থেকে স্থানীয় পর্যটকদের যাতায়াত ছিল বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সকালে গিয়ে বিকেলে ফেরার প্রবণতা দেখা গিয়েছে জানান তাঁরা। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত এরকম ভিড় থাকবে বলে আশা করছেন ট্যুর অপারেটররা।
ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল জানান, সিকিম, দার্জিলিঙে ঠান্ডা পড়ায় স্থানীয় পর্যটকদের আগ্রহ এখন বেড়েছে। সেই সঙ্গে ছাঙ্গু লেক, নাথুলা পাসে যাতায়াতের জন্যও ভিড় বাড়ছে বলে সিকিমের ট্যুর অপারেটর তাসি শেরপা জানান। তিনি বলেন, ‘‘এ বার ঠিক সময়ে ঠান্ডা পড়ায় পর্যটকরাও বেশ উপভোগ করতে পারছেন। এরকম চললে দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকদের সঙ্গে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের পাহাড়প্রেমীদের ভিড়ও বাড়বে।’’