E-Paper

ঝড়ে তার ছিঁড়ে আঁধারে বক্সা, সঙ্কটে পর্যটকেরা

প্রায় কুড়ি মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে শনিবার রাতে মাথাভাঙা ১ ব্লকের কেদারহাট  গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঝড়ের দাপটে শতাধিক বাড়ির চাল উড়ে যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ০৭:১০
Tree collapsed at Buxa

ঝড়ে রাস্তার উপরে ভেঙে পড়ে রয়েছে গাছ। কালচিনির তিন নম্বর চৌপথি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

শনিবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে ফের একবার ক্ষতির মুখে পড়ল আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকা। ক্ষতি হয়েছে কোচবিহার জেলার একাংশেও। ঝড়ের জেরে কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে, তো কোথাও আবার তারের উপরে গাছ ভেঙে পড়ায় জয়ন্তী, বক্সার অনেক জায়গা রবিবার সন্ধ্যাতেও বিদ্যুতহীন রয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে সমস্যায় পড়েন অনেক পর্যটক। বক্সার এক পর্যটন ব্যবসায়ী জানান, শনিবার রাতে এলাকা বিদ্যুতহীন হয়। রবিবার সন্ধ্যাতেও তা স্বাভাবিক হয়নি। যদিও আলিপুরদুয়ার বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।

প্রায় কুড়ি মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে শনিবার রাতে মাথাভাঙা ১ ব্লকের কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঝড়ের দাপটে শতাধিক বাড়ির চাল উড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় সাতটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় এলাকা বিদ্যুৎহীন। গাছ পড়ে এক দিকে যেমন রাস্তা আটকে যায়, তেমনই বাড়ি-ঘর সব ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টিতে পাট খেত-সহ অন্যান্য আনাজে ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট না হলেও উদ্ধার কাজে নেমেছে ব্লক প্রশাসন।

কেশরিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বাঞ্ছা বর্মণ বলেন, “সোমবার ভাইজির বিয়ে তার আগে, ঘূর্ণিঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে বিয়েবাড়ির প্যান্ডেল। বহু টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। কী ভাবে কী হবে বুঝতে পারছি না।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে কাঁচাখাওয়া কেশরিবাড়ি এলাকা। পুরো বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির নারী, শিশু সমাজকল্যাণ ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণী রায় জানান, প্রশাসনিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সহযোগিতা করা হবে। বিডিও সম্বল ঝাঁ বলেন, “ব্লক প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট জমা করেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”

শনিবার রাতে ঝড়-বৃষ্টি হয় আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও। ঝড়ে কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া, গারোপাড়া, কালচিনি-সহ বিভিন্ন এলাকায় বহু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কালচিনির তিন নম্বর চৌপথি এলাকার একটি দোকানের উপরে গাছ ভেঙে পড়ে। ব্লকের একাধিক এলাকায় ঝড়ে বিদ্যুতের তার পরে গিয়ে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট তৈরি হয়েছে। ঝড়ের ফলে মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের ভেঙে পড়েছে অনেকগুলি ঘর। উপড়ে গিয়েছে গাছ। সবচেয়ে বেশি ভেঙ্গে পড়েছে সুপারি গাছ। বড় গাছ রাস্তায় ভেঙে পড়ায় সাময়িক চলাচলের অসুবিধা হয়। ঝড়ের বেশি প্রভাব পড়ে নবিপুর, ইসলামাবাদ, দক্ষিণ খয়েরবাড়ি, মধ্য মাদারিহাটের বিভিন্ন এলাকায়। ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি দীপনারায়ণ সিংহ জানান, প্রধান-পঞ্চায়েতরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

শনিবার রাতে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির জেরে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের মধ্য পারোকাটা, শামুকতলা এবং শিবকাটা সহ সংলগ্ন এলাকায় একাধিক গাছ ভেঙে পড়ার ফলে এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। শিবকাটা এলাকায় ঝড়ের জেরে একাধিক বাড়ি ভেঙে যায়। সেখানেও বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যায় পড়েন বাসিন্দারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Buxa Power Cut

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy