দুর্ঘটনা: লাইনচ্যুত। নিজস্ব চিত্র
দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি আসার পথে লাইনচ্যুত হল টয়ট্রেন। ঘটনায় কেউ আহত হননি। বুধবার সকালে কার্শিয়াং স্টেশনের ঘটনা। রেল সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ টয়ট্রেনটা শিলিগুড়ির দিকে রওনা দেয়। তিন কামরার টয়ট্রেনের মধ্যে একটি বাতানুকূল কামরা ছিল। বাকি দু’টি সাধারণ কামরা। কার্শিয়াং স্টেশনে ঢোকার পরে একটি শেডের পাশে বাঁক ঘোরার সময় বাতানুকূল কামরা লাইন থেকে নেমে যায়।
দু’টি সাধারণ কামরার মাঝে ওই কামরা ছিল। সেটা লাইনচ্যুত হওয়ার পরে শেষের কামরাও লাইন থেকে নেমে যায়। ট্রেনটিতে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যাত্রীরা চেঁচামেচি শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের ডিজেল ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। টয়ট্রেনের চালক, কর্মীরা ছাড়াও কার্শিয়াং স্টেশনের রেলকর্মীরা ছুটে আসেন। সব যাত্রীদের কামরা থেকে নামিয়ে বসানো হয় প্ল্যাটফর্মে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের এক আধিকারিক জানান, বাতানুকূল কামরার চাকা লাইন থেকে নেমে পড়ে বিপত্তি হয়েছে। একটি কামরা হেলে যাওয়ায় পিছনের কামরাও লাইনচ্যুত হয়েছিল। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় ট্রেন সোজা করে লাইনে তুলে ফের শিলিগুড়ির দিকে রওনা করানো হয়।
গত বছর জানুয়ারিতে টয়ট্রেন কার্শিয়াঙের তিনধারিয়ায় কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়েছিল। পাহাড়ি রাস্তার ধারে উঁচু গার্ডওয়াল থেকে ইঞ্জিন কয়েকফুট ছিটকে নীচে পড়ে গিয়েছিল। সেবার চার যাত্রী, চালক জখম হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন ওই লাইনে টয়ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে লাইন মেরামতির কাজ করে তা চালু করা হয়। এর আগে ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনধারিয়া, পাগলাঝোরা এলাকায় ধসের জন্য টয়ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
রেলের ইঞ্জিনিয়রেরা জানান, লাইনের ধারের মাটি জমে গিয়ে, বাঁকের মুখে ব্রেকের সমস্যার জেরে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে। সম্প্রতি সমতল থেকে লাইনের ধার বরবার গার্ডওয়াল তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে লাইনের দু’পাশের অংশের মাটি, ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে সুবিধা হবে। এ ছাড়াও টয়ট্রেনের লাইনে প্রায়শই গাড়ি রাখার জেরে সমস্যা তৈরি হয়।
কার্শিয়াং শহর ছাড়াও দার্জিলিং মোড় থেকে সুকনার রাস্তার এই ঘটনা ঘটে। তখন গাড়ির মালিককে খুঁজে এনে লাইন থেকে গাড়ি সরাতে হয়। দেড়ফুট উঁচু গার্ডওয়াল তৈরি করা গেলে এ সমস্যা মিটবে। যদিও টয়ট্রেনের যাত্রাপথে জমির সমস্যার জন্য সব জায়গায় তা দেওয়া সম্ভব হবে না। বিষয়টি সমীক্ষা করে
দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy