Advertisement
০৪ মে ২০২৪

অটো, যান নিয়ন্ত্রণে বৈঠক শিলিগুড়িতে

বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির শিলিগুড়ির সেবক রোডের জোনাল অফিসের সামনে অটো-সহ সমস্ত গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি তুললেন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জোনাল ম্যানেজার অশোক কুমার সিংহ সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই দাবি তুলেছেন। গত বৃহস্পতিবার বণ্টন কোম্পানির মূল গেটের সামনে যথেচ্ছভাবে অটো দাঁড় করানোর অভিযোগ নিয়ে এক দল অটো চালকদের সঙ্গে সংস্থার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের গোলমাল হয়। সেই সময় দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫৯
Share: Save:

বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির শিলিগুড়ির সেবক রোডের জোনাল অফিসের সামনে অটো-সহ সমস্ত গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি তুললেন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জোনাল ম্যানেজার অশোক কুমার সিংহ সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই দাবি তুলেছেন। গত বৃহস্পতিবার বণ্টন কোম্পানির মূল গেটের সামনে যথেচ্ছভাবে অটো দাঁড় করানোর অভিযোগ নিয়ে এক দল অটো চালকদের সঙ্গে সংস্থার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের গোলমাল হয়। সেই সময় দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন। একাংশ অটো চালকদের বিরুদ্ধে সংস্থার অফিসারদের গালিগালাজ এবং ধাক্কাধাক্কির অভিযোগও তোলা হয়। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

জোনাল ম্যানেজারের অভিযোগ, “আমাদের গেটের সামনে যেভাবে দিনভর অটো-সহ বিভিন্ন গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। গেটের সামনেই কার্যত বেআইনি স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। দিনভর যাত্রীওঠা নামা করানো হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনকে বহুবার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমাদের অফিস থেকে গাড়ি বার করা যাচ্ছে না। এখানে যান নিয়ন্ত্রণ দরকার।” জোনাল অফিস থেকেই উত্তরবঙ্গের একমাত্র মালদহ ছাড়া বাকি পাঁচটি জেলা বিদ্যুৎ বিষয়ক সামগ্রিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি কে সাভারি রাজকুমার বলেন, “পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী পলাতক। অভিযুক্ত অটোচালকদেরও খোঁজা হচ্ছে। যান নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অবশ্যই দেখা হবে।”

কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার জানান, সেবক রোডে কোম্পানির ২৬ একরের ওই অফিস চত্বরে জোনাল অফিস, ডিভিশন্যাল অফিস, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার, ট্রান্সমিশন, হাইডেল পাওয়ারের অফিস ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্টোর বিভাগটি রয়েছে। কিন্তু রাস্তার সামনের ওই অবস্থার জন্য গাড়িই বার করতে ঘাম ছুটে যায় কর্মীদের। রক্ষনাবেক্ষণের জন্য মাঝেমধ্যেই ল্যাম্পপোস্ট-সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বার করতে হয়। বৃহস্পতিবার এমনই একটি গাড়ি বার করার সময়ই গোলমাল হয়। ঘটনার পর বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ করা অভিযুক্ত বিদ্যুৎ বিভাগের এক নিরাপত্তারক্ষী ভয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তাঁরও খোঁজ নেই। কলকাতায় তাদের দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বণ্টন কোম্পানির অফিসারদের অভিযোগ, দফতরের উল্টো পাশে একটি বড় মাপের শপিং মল রয়েছে। সকাল থেকে রাত অবধি প্রচুর মানুষ আসেন। সে জন্যই অটো, রিকশা-সহ বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়াতে থাকে। মলের সামনে ডিভাইডার দুটি অংশ ট্রাফিক পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় সব গাড়ি বন্টন কোম্পানির সামনে দাঁড়ায়। ডিভাইডার বন্ধ থাকায় সংস্থার গাড়ি ঘুরিয়ে যাতায়াত করাতে হয়।

নির্দিষ্ট এলাকায় স্টপেজ চান, অটো মালিকেরাও। সিটি অটো ওয়ার্র্কার্স অ্যান্ড ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, “নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করার ব্যবস্থা করা হলে তাতে সবারই সুবিধা। তাই কথা ছিল। কিন্তু হয়নি।” সেবক রোডের শপিং মলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক গোপাল পাণ্ডে বলেন, “পার্কিং এবং ট্রাফিক সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব পুরসভা ও পুলিশের। আমাদের এতে কিছুই বলার নেই।”

সংস্থার সীমানা প্রাচীরের সামনে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইনকে উপেক্ষা করে যেভাবে দোকান ঘর তৈরি করে তা নিয়ে অফিসারেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জোনাল ম্যানেজার জানান, কাঠের বড় বড় উঁচু দোকান তৈরি করা হয়েছে। ২-৩ ফুট উঁচু দিয়ে হাই ভোল্টেজ লাইন গিয়েছে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

siliguri auto rickshaw
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE