মহকুমা আদালত চত্বরে রাজ্য সরকার ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রতিনিধিরা। সোমবার নারায়ণ দে-র তোলা ছবি।
প্রস্তাবিত পৃথক আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতের পরিকাঠামো দেখল রাজ্য সরকার ও কলকাতা হাইকোর্টের দুই সদস্যর প্রতিনিধি দল। সোমবার তাঁরা জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের সঙ্গে আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত চত্বর ঘুরে দেখেন। পৃথক জেলা গঠনের অন্যতম শর্ত হল জেলা আদালত। বিচার ব্যবস্থা জেলা তৈরির বিস্তারিত নথিপত্র এবং জেলা আদালত তৈরির পরিকাঠামো দেখে রিপোর্ট দিলে জেলা গঠনে শেষ পর্যায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২ জুন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার আলিপুরদুয়ার জেলা গঠনে প্রস্তুত। বিচার ব্যবস্থার তরফে রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। এর পরেই এ দিন আইন দফতরের সচিব এবং কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার আলিপুরদুয়ার আসেন। জেলাশাসক পৃথা সরকার বলেন, “এদিন সরকার ও হাইকোর্টের প্রতিনিধিরা এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রক্রিয়া ইতিবাচক।”
এ দিন সরকারের আইন দফতরে সচিব মলয়মারুত মুখোপাধ্যায় এবং হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার সুদীপ চৌধুরী জেলা আদালত গঠনের পরিকাঠামো নিয়ে বার অ্যাসোসিয়েশন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে মহকুমাশাসক নিখিল নির্মল ও পূর্ত বাস্তুকারেরাও ছিলেন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহর মজুমদার বলেছেন, “মহকুমা আদালত চত্বরে বেশ কিছু ফাঁকা জমি রয়েছে। সেখানে জেলা আদালতের জন্য পাঁচতলা ভবন তৈরির কথা বলা হয়েছে। বিশ্রামাগারে অতিরিক্ত জেলা জজের আদালত স্থানান্তর, অতিরিক্ত জেলা জজ-এর আদালতে জেলা বিচারকের বসার কথা বলেছি। বার অ্যাসোসিয়েশনের দোতালার ঘরে অস্থায়ী ভাবে জেলা জজের আদালত ও চেম্বার করার কথা প্রস্তাবও দেওয়া হয়।” এ দিন বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার বলেন, “দুই প্রতিনিধি এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। আমরা আশাবাদী যে, হাইকোর্ট দ্রুতই প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়ে দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy