Advertisement
E-Paper

আলুর ঢলা রুখতে শলা

আলু খেতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত ‘ঢলা রোগ’ সামাল দিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ লিফলেট বিলি করে চাষিদের জানাবে কৃষি দফতর। আজ, শনিবার রাজগঞ্জ ব্লকের টাকিমারি চর এলাকায় ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি জানাতে কৃষি আধিকারিকরা চাষিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৫

আলু খেতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত ‘ঢলা রোগ’ সামাল দিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ লিফলেট বিলি করে চাষিদের জানাবে কৃষি দফতর। আজ, শনিবার রাজগঞ্জ ব্লকের টাকিমারি চর এলাকায় ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের পদ্ধতি জানাতে কৃষি আধিকারিকরা চাষিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকিমারি চর এলাকায় প্রায় পাঁচশো হেক্টর জমিতে ঢলা রোগ ছড়িয়েছে। ক্রমশ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর আলু গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক চন্দন ভুঁইয়া এলাকা ঘুরে দেখেন। এর আগে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা সেখানে যান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে রোগ প্রতিরোধের জন্য তাঁরা যে সুপারিশ করেন সেটা জেলা কৃষি দফতরের লিফলেটে তুলে ধরা হয়েছে। জলপাইগুড়ির সহকারী কৃষি অধিকর্তা হরিশ্চন্দ্র রায় জানান, ‘ফিউডোমনাস’ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে ঢলা রোগ ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা রোগাক্রান্ত যে সমস্ত গাছের বয়স ৫০ থেকে ৭০ দিন হয়েছে, সেগুলি তুলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, জীবাণু যাতে নতুন করে কোনও এলাকাকে সংক্রমিত করার সুযোগ যেন না পায়, সে জন্য তুলে ফেলা গাছ এক জায়গায় ডাঁই করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। সহকারী কৃষি অধিকর্তা বলেন, শনিবার থেকে লিফলেট বিলি করে সব কথা চাষিদের জানানো হবে।

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচের জলের মাধ্যমে ফিউডোমনাস ব্যাকটিরিয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যায়। সতর্কতা হিসেবে বিশেষজ্ঞরা সেচের নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, এক সঙ্গে সমস্ত জমিতে সেচ দেওয়া চলবে না। আলু খেত আল দিয়ে ভাগ করে নিতে হবে। জল ছাড়ার আগে বিঘা প্রতি হিসেবে দু’কেজি ব্লিচিং পাউডার ভাগ করে কাপড়ের পুঁটুলিতে নিয়ে সেচ নালার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখতে হবে। কিন্তু ব্লিচিং জলে গুলে স্প্রে করলে গাছের বেশি ক্ষতি হবে।

কৃষি আধিকারিকরা জানান, পোখরাজ প্রজাতির আলু বীজের মাধ্যমে ঢলা রোগ ছড়িয়েছে। চাষের আগে বীজ ও মাটি পদ্ধতি মেনে শোধন করা হয়নি। ব্লিচিং সেচের জলে মিশে মাটিতে ছড়িয়ে থাকা ওই জীবাণুকে ধ্বংস করবে।

dhola disease potato jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy