একাধিক রাজনৈতিক দল আপত্তি তোলায় শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনের আসন পুনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা হল না। শুক্রবার সরকারিভাবে ওই তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। এ দিন বিকেলে দার্জিলিঙের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক পুনীত যাদব শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের হলঘরে সর্বদল বৈঠক ডেকে জানিয়ে দেন, নানা আপত্তি থাকায় ওই তালিকা ঘোষণা আপাতত সাত দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলির হাতে খসড়া তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ অগস্ট অবধি দলগুলিকে আপত্তি বা অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। তা দেখার পর ২৯ অগস্ট তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হবে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ দিন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য গত ১৪ অগস্ট শিলিগুড়ি সার্কিট হাউসে সর্বদল বৈঠক হয়। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেই মূলত জেলা নির্বাচন দফতরকে জানানো হয়, ১৯৯৪ সালের পুর আইনের বিজ্ঞপ্তি ধরে ওই সংরক্ষণ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যা ঠিক নয়। আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি পুরসভার জন্য ২০০৯ সালে পুর আইনে নতুন বিজ্ঞপ্তি তৎকালীন সরকার প্রকাশ করেছিল। সেই আইন ধরেই আসন বিন্যাস করতে হবে। তার পরেই এ দিন বিকেলে ফের শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে সর্বদল বৈঠক ডেকে তালিকা ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে খসড়া তালিকায় ১৬টি ওয়ার্ডকে মহিলা ওয়ার্ড হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তফসিলি জাতির ওয়ার্ড হিসাবে ছ’টি ও একটি তফসিলি জনজাতির জন্য সংরক্ষণ করার কথা বলা হচ্ছে। ১৯৯৪ সালের পুর আইন ধরে তালিকা তৈরি হলে তফসিলি জাতি-জনজাতির ওয়ার্ডগুলির সঠিকভাবে বিন্যাস হবে না বলেই আপত্তি তোলা হয়েছিল। এতে অনেক সাধারণ ওয়ার্ড সংরক্ষিত ওয়ার্ড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে প্রার্থী থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় পড়তে হবে দলগুলিকে।
এ দিনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা জানান, জনসংখ্যা ও সংরক্ষণের জন্য ২০০৯ সালের আইনটিই মানতে হবে। সেই মতো এ বার নতুন খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে আগামী ২৫ অগস্টের মধ্যে নানা আপত্তি-অভিযোগ ওঠলে তা খতিয়ে দেখার পর ২৯ অগস্টই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। এই প্রসঙ্গে এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মিলন দত্ত বলেন, “নির্বাচন কমিশন এবং জেলা নির্বাচনী দফতর থেকে পুরনো বিজ্ঞপ্তি ধরে প্রক্রিয়া শুরু করায় সমস্যা হয়েছিল। আমরা বৈঠকে ভুলটি তুলে ধরে আপত্তি জানিয়ে ছিলাম। নতুন খসড়া দেখি নতুন করে আমাদের বক্তব্য জানাব।” একইভাবে বৈঠক ছিলেন বামফ্রন্টের পক্ষে সিপিএম নেতা নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “দুই দফায় দুই রকম বিজ্ঞপ্তি সামনে রেখে কাজ করায় দেরি হয়েছে। নতুন খসড়া দেখে আমাদের বক্তব্য জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy