Advertisement
E-Paper

ইচ্ছেমতো ‘পার্কিং ফি’ নজরদারি নেই, পুরসভার

শহরের বিভিন্ন পার্কিং জোন থেকে বরাত পাওয়া ঠিকাদাররা ইচ্ছে মতো ফি সংগ্রহ করলেও তা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, পুরসভার একাধিক কর্মী আধিকারিকরাও ওই সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি পুর কর্তৃপক্ষকেও সমস্যার কথা জানিয়েছেনও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩১

শহরের বিভিন্ন পার্কিং জোন থেকে বরাত পাওয়া ঠিকাদাররা ইচ্ছে মতো ফি সংগ্রহ করলেও তা নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, পুরসভার একাধিক কর্মী আধিকারিকরাও ওই সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি পুর কর্তৃপক্ষকেও সমস্যার কথা জানিয়েছেনও। শনিবারও শহরের পানিট্যাঙ্কিমোড় এলাকার ফি সংগ্রহকারীরা সামান্য সময়ের জন্য মোটরবাইক রাখার ক্ষেত্রে জোর করে চার টাকা আদায় করতে চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। অথচ পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, ১ ঘন্টার পর্যন্ত বাইক রাখলে ২ টাকা ফি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। পানিট্যাঙ্কি মোড় এলাকা থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাগুলির কাজকর্ম নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, এক ঘন্টার জন্য পার্কিংয়ে মোটর বাইক রাখলে পুরসভার নিয়ম মতো ২ টাকা ফি লাগে। অথচ পানিট্যাঙ্কি মোড় থেকে চেক পোস্ট পর্যন্ত পার্কিং জোনগুলিতে পনেরো-কুড়ি মিনিট রাখলেও জবরদস্তি ৪ টাকা করে ফি নিচ্ছে বলে অভিযোগ।

পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, “অভিযোগ আগেও পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু খতিয়ে দেখার কাজ কবে শেষ হবে আর কবেই বা ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, সব জেনে বুঝেও কর্তৃপক্ষ চুপ থাকেন। তাঁরা দেখেও না দেখার ভান করেন। অথচ বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পানিট্যাঙ্কি মোড় থেকে সেবক রোডের ধারে একটি সিনেমা হল পর্যন্ত ৮ নম্বর জোন। ওই এলাকায় পার্কিং করাতে যাওয়া কয়েক জনের কাছ থেকে ১ ঘন্টারও কম সময়ের জন্য বাইক রাখার ক্ষেত্রে জবরদস্তি ৪ টাকা করে আদায় করা হচ্ছিল। যে স্লিপ দেওয়া হয় তাতে ঠিকাদার সংস্থার ফোন নম্বর, স্লিপ নম্বর কিছুই ছিল না। ২ ঘন্টা পর্যন্ত ৪ টাকা বড় করে লিখে স্লিপ ছাপিয়ে ১৫ মিনিট বাইক রাখার জন্যও ৪ টাকা আদায় করা হচ্ছে। সেখানে ঠিকাদার সংস্থার বোর্ড এবং তাদের নম্বরও রাখা হয়নি। অভিযোগ, পুর কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানানো হবে বললেও ‘কারও কাছে গিয়ে লাভ হবে না’ বলে ওই কর্মী সাফ জানিয়ে দেন। ওই জোনের বরাত পাওয়া ঠিকাদার রাজু চৌধুরী বলেন, “পার্কিং ফি সংগ্রহ নিয়ে পুরসভার কোনও তালিকা নেই। তা নিয়ে আমরা ঠিকাদাররা পুর কমিশনারকে বলেছি। তাতে সমস্যাহচ্ছে। কর্মীদের অনেক সময় নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না বলেও সমস্যা রয়েছে।” ফি সংগ্রহের জন্য ছাপানো স্লিপে অনিয়ম নিয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

মুন্সি নুরুল ইসলাম যিনি প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা এত দিন পুরসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি বলেন, “প্রশাসক বসানো হলেও মেয়র কাউন্সিলররা না থাকায় শহর অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। খুশি মতো পার্কিং তোলা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অন্যান্য বিভিন্ন পরিষেবা নিয়েও বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

siliguri car parking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy