Advertisement
১৮ মে ২০২৪

একশো শতাংশ সাফল্য চারটি স্কুলে

শিক্ষকের অভাব সত্ত্বেও কোচবিহারে চারটি নামী স্কুলের একশো শতাংশ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে পাশ করেছে। তালিকায় রয়েছে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি, জেনকিন্স স্কুল, দিনহাটার গোপালনগর মহেশ সাহা শরণার্থী হাই স্কুল ও সোনিদেবী জৈন হাইস্কুল। সুনীতি অ্যাকাডেমির ৯৯ , জেনকিন্সের ১১৯, গোপালনগর স্কুলের ১৪৩ ও সোনিদেবী হৈাইস্কুলের ৯৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই পাশ করেছে। ওই চারটি স্কুলেই সর্ব্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৬০০’র বেশি প্রত্যাশিত ওই সাফল্যে খুশির হাওয়া শিক্ষক, অভিভাবক মহলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০১:৩৯
Share: Save:

শিক্ষকের অভাব সত্ত্বেও কোচবিহারে চারটি নামী স্কুলের একশো শতাংশ পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে পাশ করেছে। তালিকায় রয়েছে কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি, জেনকিন্স স্কুল, দিনহাটার গোপালনগর মহেশ সাহা শরণার্থী হাই স্কুল ও সোনিদেবী জৈন হাইস্কুল। সুনীতি অ্যাকাডেমির ৯৯ , জেনকিন্সের ১১৯, গোপালনগর স্কুলের ১৪৩ ও সোনিদেবী হৈাইস্কুলের ৯৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলেই পাশ করেছে। ওই চারটি স্কুলেই সর্ব্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৬০০’র বেশি প্রত্যাশিত ওই সাফল্যে খুশির হাওয়া শিক্ষক, অভিভাবক মহলে।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী শ্রমণা দাস ৬৭৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সম্ভাব্য সপ্তম স্থান পেয়েছে। এ ছাড়াও স্কুলের ২৩ জন ছাত্রী ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়ে ‘ এএ’ পেয়েছে। ৭৯ জন প্রথম বিভাগ পেয়েছে। জেনকিন্স স্কুলের ১১৯ জন পরীক্ষার্থীর ২১ জন ৯০ শতাংশের বেশি পেয়েছে। প্রথম বিভাগ পেয়েছে ১১১ জন। সর্ব্বোচ্চ তমোজিৎ দে সরকার ৬৭৪, যা রাজ্যে সম্ভাব্য নবম। দিনহাটা গোপালনগর এমএসএস হাই স্কুলের ১৪৩ জনের মধ্যে প্রথম বিভাগ ১৩৮ জন। সর্ব্বোচ্চ শান্তনু বসাক ৬৬০, সোনিদেবী জৈন হাইস্কুলের ৪০ জন প্রথম বিভাগ পেয়েছে। দীপঙ্কর বর্মন সর্ব্বোচ্চ ৬২১ নম্বর পেয়েছে।

সুনীতি অ্যাকাডেমিতে অনুমোদিত ৩৪ জন স্থায়ী শিক্ষিকার পদের মধ্যে ১২টি পদ ফাঁকা। ভূগোল ও অঙ্কে এক জন মাত্র শিক্ষিকা রয়েছেন। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মৌমিতা রায় জানিয়েছেন, এ বার নিয়ে টানা ৫ বার মাধ্যমিকে সবাই পাস করেছে জীবন বিজ্ঞানে ১৮ জন, ভৌতবিজ্ঞানে ৫ জন পুরো ১০০ নম্বর পায়। জেনকিন্স স্কুলে ৪৭ স্থায়ী শিক্ষকের অনুমোদিত পদের ১৭টি ফাঁকা। ভূগোল, রসায়ন, সংস্কৃত বিষয়ে এক জন করে শিক্ষক রয়েছেন। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শংকর দত্ত বলেন, “গত বার পুরো একশো শতাংশ সাফল্য ছিল না। খামতি মেটানো গিয়েছে। শূন্যপদ গুলি পূরণ করা দরকার।” দুটি স্কুল পরিচালন সমিতি সভাপতি কোচবিহার জেলাশাসক মোহন গাঁধী এদিন বলেন, “শূন্য পদ পূরণ করার বিষয়টি শিক্ষা দফতরের নজরে আনা হয়েছে।”

দিনহাটার গোপালনগর এমএসএস হাইস্কুলে প্রায় দুই দশক ধরে একশো শতাংশের সাফল্য যেন রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারেও ব্যাতিক্রম হয়নি। সেখানে ২৩টি অনুমোদিত পদের ৫টি ফাঁকা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমল অধিকারী বলেন, “ইতিহাস ও অঙ্কের মত বিষয়ে মাত্র একজন করে শিক্ষক দিয়ে চালাতে হচ্ছে। টিমওয়ার্ক হিসাবে সবাই চেষ্টা করায় এমন ফলের ধারাবাহিকতা জারি রয়েছে। সোনিদেবী জৈন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিত সাহার কথায়, “এবারে সবাই পাস করে। ভূগোল, ইংরেজি-সহ ৪ শিক্ষক পদ পূরণ করা দরকার।” দুটি স্কুলের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

madhyamik result
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE