Advertisement
১৯ মে ২০২৪

কাওয়াখালি: অনিচ্ছুকদের জমি ফেরত দেওয়ার আশ্বাস মন্ত্রীর

কাওয়াখালি উপনগরী প্রকল্পে অনিচ্ছুকদের জমি ফেরত দিতে ফের আশ্বাস দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গৌতম দেব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৪ ০৩:২৫
Share: Save:

কাওয়াখালি উপনগরী প্রকল্পে অনিচ্ছুকদের জমি ফেরত দিতে ফের আশ্বাস দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গৌতম দেব। রবিবার এসজেডিএ-র ১২৮ তম বোর্ড মিটিংয়ে অনিচ্ছুক জমির মালিকদের জায়গা পুজোর আগেই ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান। সেই মতো এলাকায় একটি হাটের ২ একর জায়গা-সহ অনিচ্ছুকদের জমি রয়েছে ১১ একর।

তবে আগেও জমি ফেরতের আশ্বাস মিললেও এখনও জমি না পাওয়ায় অনেকেই চিন্তিত। অনিচ্ছুক জমির মালিক অমৃত দাস জানান, প্রকল্পের এলাকায় তাঁর ২ বিঘা জমি রয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানার জন্য কিনেছিলেন। নতুন সরকারের ৩ বছর হয়ে গেল। জমি ফেরত দেওয়া হবে প্রথম থেকেই শুনছি। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে হতাশও হয়ে যাই। কবে জমি ফেরত পাব সেই অপেক্ষাতেই রয়েছি।”

শিলিগুড়ির উপকন্ঠে এই প্রকল্পে ২০০৪ থেকেই জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে তৎকালীন বাম সরকার। এসজেডিএ-র তৎকালীন চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যের আমলে ওই প্রকল্পে ৩০২ একর জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেন বাসিন্দাদের অনেকেই। তাঁরা জমি দিতে অনিচ্ছার কথা জানান। অনেকে মামলা করেন। অনিচ্ছুক জমির মালিকদের নিয়ে তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ কৃষি জমি জীবন, জীবিকা রক্ষা কমিটি আন্দোলনেও নামে। গৌতমবাবু ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন। আন্দোলনে নামে কংগ্রেসও। ক্ষমতায় এলে অনিচ্ছুকদের জমি ফেরনোর আশ্বাস দিয়েছিল তৃণমূল। ক্ষমতায় এসে এসজেডিএ-র তরফে একাধিকবার জমি ফেরতের কথা জানানোও হয়। ২০১৩ সালের গোড়ার দিকে গৌতমবাবু চেয়ারম্যান হওয়ার পরও বোর্ড মিটিংয়ে জমি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়। কী ভাবে সেই প্রক্রিয়া হবে, পরামর্শ চাওয়া হয়েছিল নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে। হাটের জায়গা বাদ দিয়ে অনিচ্ছুক জমির মালিক ৫১ জন। হাটে প্রচুর ব্যবসায়ী থাকলেও জমি হাট কমিটির নামে।

প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবু বলেন, “মহকুমা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখেই একই কথা বলা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ জমির মালিকই আমাদের সময় করা পুনর্বাসন প্রকল্পে প্যাকেজের সুবিধা নিয়েছেন।”

অনিচ্ছুক জমির মালিকদের মধ্যে রয়েছেন সুকুমার মণ্ডল, সুশীলাদেবী রামের মতো বাসিন্দারা। কাওয়াখালি প্রকল্পের জায়গায় ৩ কাঠা জমি ছিল সুকুমারবাবুর। তিনি বলেন, “রাস্তার ধারে জমি কিনেছিলাম। অনেক দিন ধরেই শুনছি জমি ফেরানো হবে। এখনও না পেয়ে তাই চিন্তায় রয়েছি।” একই বক্তব্য সুশীলাদেবী রামের-ও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kaoakhali housing gautam deb
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE