Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কেবল পাতার কাজ হয়েছে মেয়রকে জানিয়ে, চিঠিতে দাবি

বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে শহরে ফোর জি কেবল লাইন পাতার কাজের সমস্ত কিছুই মেয়রকে জানিয়েই করা হয়েছে বলে তাঁকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক। বুধবার তিনি মেয়রকে ওই চিঠি দেন। তাতে ওই সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে মেয়রের বৈঠক, ফেব্রুয়ারি মাসে মেয়র পারিষদের বৈঠকে যথাযথ ভাবে তা নিয়ে আলোচনা করেই যে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৪ ০১:৪৬
Share: Save:

বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে শহরে ফোর জি কেবল লাইন পাতার কাজের সমস্ত কিছুই মেয়রকে জানিয়েই করা হয়েছে বলে তাঁকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক। বুধবার তিনি মেয়রকে ওই চিঠি দেন। তাতে ওই সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে মেয়রের বৈঠক, ফেব্রুয়ারি মাসে মেয়র পারিষদের বৈঠকে যথাযথ ভাবে তা নিয়ে আলোচনা করেই যে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী দলেরই যুব সংগঠন ওই কাজের ব্যাপার নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করেছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। এবং তা প্রত্যাহার করার জন্য মেয়রকে উদ্যোগী হতে বলেছেন। অন্যথায় তিনি এর বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

তাঁকে ‘অন্ধকার’-এ রেখে কেবল পাতার কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। এ দিন অবশ্য মেয়র এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “মেয়র পারিষদের উপর আস্থা রয়েছে। তবে এর বাইরে কিছু বলতে চাই না।” সুজয়বাবু বলেছেন, “মেয়রকে চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি। আশাকরি তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।”

পুরসভারই একটি সূত্র জানিয়েছে, এ দিন ওই চিঠিতে সুজয়বাবু উল্লেখ করেছেন গত বছর মে মাসে ওই বেসরকারি সংস্থার এক আধিকারিক মেয়রের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারেকথা বলেছেন। এর পরেই গত জুন মাসে তাঁর অনুমোদনের ভিত্তিতেই সংস্থাকে টাকাজমা করতে বলা হয়। সে সময় ১৫৯৮ টাকা ৪০ পয়সা প্রতি বর্গ মিটার কেবল পাতার জন্য খরচ ধায৪ করা হয়েছিল। পরে অগস্টে সংস্থা সরকারি নির্ধারিত দরের কথা পুরসভাকে জানায়। এর পরে মেয়রের কথা মতোই তাদের আগের কথা মতো টাকা জমা করতে বলা হয়। জানানো হয়েছিল সরকারি দরের থেকে যে বাড়তি টাকা তারা দেবেন তা পরে ফেরত দেওয়া হবে বা পরবর্তীতে আরও কাজ হলে তার সঙ্গে হিসেব মিলিয়ে নেওয়া হবে। সেই মতো কাজও শুরু করে সংস্থাটি। গত মার্চে ফের তারা আরও কিছু এলাকায় কেবল পাতার কাজের অনুমোদন চায়। এবং সেই মতো টাকা জমা করতে বলা হয়। সে কারণে সমস্তটাই মেয়রের জ্ঞাতসারে হয়েছে বলেই সুজয়বাবু চিঠিতে দাবি করেছেন। যুব কংগ্রেসের নেতা অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “আমরা কারও নাম করে কোনও অভিযোগ করিনি। সুজয়বাবু যদি স্বচ্ছ বলে দাবি করেন তা হলে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে তা প্রমাণ করুন।”

বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “যেহেতু মেয়রের দলের পক্ষ থেকেই অভিযোগ উঠেছে এবং মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন মেয়রকে সব জানিয়েই কাজ হয়েছে তা পুরো বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হোক। বোর্ড সভায় কেন তা হলে মেয়র বললেন তিনি কিছু জানেন না। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে পুরো বিষয়টি তাদের পরিষ্কার করতে হবে।” তা ছাড়া সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করতে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা কেন করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তৃণমূলের তরফে কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল বলেন, “বোর্ডেও মেয়র মিথ্যে কথা বলছেন। দুর্নীতির দায় তাঁকেই নিতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cable mayor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE