কী ভাবে প্রতারণার শিকার হতে হয় চা বাগানের মহিলাদের তা অভিনয় করে দেখালেন আদিবাসী মহিলারাই। আর্ন্তজাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ওম্যানস্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে দিনটি পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ক্লাবে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বিশ্বব্যিদালয়ের আইন বিভাগের ক্রিনিক্যাল লিগ্যাল এড সেন্টার, দিনহাটার গীতালদহ বিকাশ সমিতি, নাগরাকাটার রি-এনইএসইটি’র মতো সংস্থা।
শিলিগুড়ির প্রাক্তন গঙ্গোত্রী দত্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে সাওতাল নাচ, আদিবাসীদের উপরে নাটক হয়েছে। চা বাগান এলাকার মহিলাদের বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার শিকার হতে হয়। নাচের মধ্য দিয়ে তা তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-অধ্যাপকরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠান হয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজও। হাসপাতালে পড়ুয়াদের উদ্যোগে নুমেসকন (নর্থবেঙ্গল আন্ডার গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল স্টুডেন্ট কনফারেন্স)-এর আয়োজন করা হয়।
নারীদিবস উপলক্ষ্যে এ দিন ওই জাতীয় সেমিনারে মহিলাদের, বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের রোগব্যাধির উপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল।
সেমিনারে অংশ নেন হীরালাল কোনারের মতো ডাক্তারির পড়াশোনার বইয়ের লেখক, মেহেরবান সিংহের মতো এইময়ের চিকিত্সক এবং অধ্যাপকেরা। বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকেও ডাক্তারির ছাত্ররা অংশ নিয়েছে।
এ দিকে, নারী দিবসের অনুষ্ঠানে পুলিশ অফিসারদের সংবর্ধনা দিল দার্জিলিঙের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
নারী পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করা ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে পাচার হয়ে যাওয়া কিশোরী এবং মহিলাদের উদ্দার করতে পুলিশ অফিসাররা সাহায্য করেছেন। তেমনি বাছাই করা ২৪ জন পুলিশ অফিসারকে এ দিন সংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়।
ওই তালিকায় রাজ্যের বিবিন্ন জেলার অফিসাররা ছাড়াও গোয়া, সিকিম, দিল্লি এবং মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসাররা ছিল। যদিও, বাইরের রাজ্যের অফিসারেরা এ দিন সংবর্ধনা নিতে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। এ দিন মানপত্র এবং খাদা দিয়ে অফিসারদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির রেঞ্জের ডিআইজি সিএস লেপচা।
দার্জিলিঙের সাউর্দান কলেজ চত্বরে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। মার্গ নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্পাদক নির্ণয় জন ছেত্রী বলেন, “পুলিশ বা প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া পাচার রোখা অথবা পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েদের উদ্ধার করে আনা সম্ভব নয়। আমরা কাজের ক্ষেত্রে যে পুলিশ অফিসারদের সাহায্য পেয়েছি। তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy